৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ডিপিডিসি) নির্বাহী পরিচালক মো. রমিজউদ্দিনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সংস্থার সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি ডিপিডিসির নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) রমিজউদ্দিন সরকার তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ১ কোটি ১৮ লাখ ৯২ হাজার টাকার সম্পদ গোপন করেছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে নামে-বেনামে ১ কোটি ৯৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৭ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। অন্যদিকে মানি লন্ডারিং আইনে তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৬৭ টাকা স্থানান্তর ও রূপান্তরের অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় রমিজউদ্দিনের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও (৩) ধারায় দায়ী করা হয়েছে।
২০১৮ সালের শেষদিকে রমিজউদ্দিনের বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ আসে। এরপর প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। চলতি বছরের ৭ মার্চ স্ত্রীসহ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক জানতে পারে, রমিজউদ্দিন সরকার ২ কোটি ৪১ লাখ ১৯ হাজার ২৮৯ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি ও ১ কোটি ২৫ লাখ ৭ হাজার ৬৮৭ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন। অর্থাৎ রমিজউদ্দিন সরকার কর্তৃক অর্জিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মোট মূল্য ৩ কোটি ৬৬ লাখ ২৬ হাজার ৯৭৬ টাকা। কিন্তু রমিজউদ্দিন সরকার কর্তৃক দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ১ কোটি ৬৩ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পত্তি অর্জনের ঘোষণা প্রদান করেছেন। এছাড়া কুমিল্লায় ৩ দশমিক ২৫ একর জমির ২০ শতাংশ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত হয়েছেন, যার মূল্য উল্লেখ করেননি। একই মৌজার ৪৫ শতাংশ ও ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ জমি যথাক্রমে ১৯৬৯ ও ১৯৭০ সালে ক্রয় করেন, যার মূল্য উল্লেখ করেননি। তবে পারিবারিক আয় ও পিতার আয় থেকে অর্জিত অর্থে এগুলো সামান্য মূল্যে ক্রয় করেছেন বলে উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া তিনি তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে ৮৪ লাখ ৭ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পত্তি অর্জনের ঘোষণা প্রদান করেছেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণী পর্যালোচনায় দেখা যায়, তিনি মোট ২ কোটি ৪৭ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন করেছেন। তার দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে তিনি
মিথ্যা বা ভিত্তিহীন তথ্য প্রদানের মাধ্যমে ১ কোটি ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ৪৭৬ টাকা মূল্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য গোপন করেছেন।
অনুসন্ধানকালে রমিজউদ্দিন সরকারের বৈধ আয় থেকে মাসভিত্তিক পারিবারিক খরচসহ যাবতীয় খরচ বাদ দিয়ে সঞ্চয় বের করা হয়। আয়-ব্যয় পর্যালোচনায় দেখা যায়, ১৯৮২ সাল থেকে ২০১৮ পর্যন্ত সময়ে বেতন-ভাতা, সম্মানী, বিদেশ ভ্রমণ, বাড়ি ভাড়া, কৃষি আয়, ব্যাংক লোন ও শেয়ারবাজারের আয়সহ তার উল্লেখ?