স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, কেবল ১৮ বছরের ঊর্ধ্বদের জন্যই জাতীয় পরিচয়পত্র করা হয়েছে। এ কারণে দেশের সব মানুষের জন্মসনদ প্রয়োজন। জন্মনিবন্ধন সনদে শিশুর যাবতীয় তথ্য সন্নিবেশিত থাকতে হবে। শিশুটির যখন ১৮ বছর পূর্ণ হবে, তখন সে জাতীয় পরিচয়পত্র পাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভোটার তালিকায় তার নাম সংযোজিত হবে।
গতকাল রাজধানীর কাকরাইলে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অডিটোরিয়ামে ‘জাতীয় জন্মনিবন্ধন দিবস ২০১৯’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ কথা বলেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
মন্ত্রী বলেন, আধুনিক রাষ্ট্রের পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সঠিক জনসংখ্যার বয়সভিত্তিক বিভাজন জানা প্রয়োজন। তাত্ক্ষণিকভাবে জনসংখ্যা জানার সর্বোত্তম পদ্ধতি হচ্ছে সঠিকভাবে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন সম্পাদন।
তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, ইউনিয়ন পরিষদ ও বিদেশে অবস্থিত ৫৫টি দূতাবাসসহ মোট ৫ হাজার ১০৭টি নিবন্ধক কার্যালয়ে অনলাইনে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, সার্বিকভাবে বাংলাদেশে জন্মনিবন্ধনের হার প্রায় শতভাগ হলেও শিশু জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধনের হার এখনো সন্তোষজনক নয়।
বিশ্বের উন্নত দেশগুলোয় শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গেই জন্মনিবন্ধন করা হয় উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন আইন অনুযায়ী আমাদের দেশেও শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন শতভাগ করতে হবে। এ হার বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি। তিনি বলেন, এটা করা না হলে শিশুর জন্মতারিখ পরিবর্তন করার সুযোগ থাকে। এতে করে সমাজে বাল্যবিবাহ, অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর-কিশোরীদের শ্রমিক হিসেবে বিদেশ গমনের প্রবণতা বাড়বে এবং সার্বিকভাবে শিশুর অধিকার সুরক্ষাও কঠিন হবে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রোকসানা কাদেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের
সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান, জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মানিক লাল বণিক ও ইউনিসেফ বাংলাদেশের ডেপুটি প্রতিনিধি ভিরা মেনডনকা প্রমুখ।