বিদ্যুৎ খাতের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেনযোগ্য বন্ডের সাবস্ক্রিপশন গতকাল ৬ অক্টোবর শেষ হয়েছে। পুঁজিবাজার থেকে উত্তোলিত অর্থে ৪০০ মেগাওয়াটের কম্বাইন সাইকেল বিদ্যুেকন্দ্রে বিনিয়োগ করবে আশুগঞ্জ পাওয়ার। দেশে সরকারি কিংবা বেসরকারি খাতের বিদ্যুেকন্দ্র স্থাপনে প্রথমবারের মতো কোনো প্রতিষ্ঠান আইপিওর মাধ্যমে সেকেন্ডারি বাজারে বন্ড ছাড়ছে।
আইপিওর মাধ্যমে আশুগঞ্জ পাওয়ার ১০০
কোটি টাকার তহবিল সংগ্রহ করবে বলে জানা গেছে। উত্তোলিত অর্থের মধ্যে ভূমি উন্নয়ন ও
সিভিল ওয়ার্কের জন্য ৪৬ কোটি ৮০ লাখ,
প্রাথমিক জ্বালানি ৩০ কোটি, যানবাহন
ক্রয়ে ৩ কোটি ৬০ লাখ, প্রকৌশলী ও পরামর্শক সেবার জন্য ৪ কোটি ৪০ লাখ, চলতি
মূলধন বাবদ ১০ কোটি ৯৯ লাখ এবং আইপিওর খরচ খাতে ৪ কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয় হবে।
প্রতিটি ৫ হাজার টাকা ইস্যু মূল্যের
দুই লাখ নন-কনভার্টিবল ফুললি রিডিমেবল কুপন বিয়ারিং বন্ড আইপিওর মাধ্যমে ইস্যু করা
হবে। সাত বছর মেয়াদি বন্ডটির বার্ষিক কুপন সুদহার হবে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি
বিলের সুদহারের সঙ্গে ৪ শতাংশ মার্জিনযুক্ত হার (যা সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ৫ শতাংশ ও
সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ৫ শতাংশ)। এ কুপন
অর্ধবার্ষিক মেয়াদে প্রদেয়। আইপিওতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৫ হাজার টাকায়
কোম্পানিটির একটি বন্ড কিনতে পারবেন। আইপিওতে আসার পর প্রথম তিন বছর বিনিয়োগকারীরা
ট্রেজারি বিলের সুদহারের সঙ্গে মার্জিনযুক্ত হারে লভ্যাংশ পাবেন। আর চতুর্থ বছর
থেকে লভ্যাংশের পাশাপাশি বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত দেয়া শুরু হবে। এর মধ্যে চতুর্থ
বছরে ২৫ শতাংশ, পঞ্চম বছরে ২৫, ষষ্ঠ বছরে ২৫ ও সপ্তম বছরে ২৫ শতাংশ অর্থ ফেরত দেয়া হবে। আর সপ্তম বছর
শেষে বিনিয়োগকারীদের পাওনা পুরোপুরি পরিশোধের পর বন্ডটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে।
বন্ডটি স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত অন্যান্য সিকিউরিটিজের মতোই লেনদেন করা যাবে।
আশুগঞ্জ পাওয়ারের বন্ডে আইপিওতে ১০০
কোটি টাকা সংগ্রহের বাইরে প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে আরো ৫০০ কোটি টাকা সংগ্রহ
করেছে। এরই মধ্যে নয়টি প্রতিষ্ঠান কোম্পানিটির বন্ডে সাবস্ক্রিপশন করেছে।
কোম্পানিটির বন্ডে সোনালী ব্যাংক ৫০ কোটি,
অগ্রণী ব্যাংক ১০০ কোটি, জনতা
ব্যাংক ৬৫ কোটি, রূপালী ব্যাংক ৭৫ কোটি,
বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফিন্যান্স ফান্ড
লিমিটেড ১০০ কোটি, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ৫০ কোটি,
আইসিবি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড
২০ কোটি, সাধারণ বীমা করপোরেশন ২০ কোটি ও উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড ২০ কোটি টাকা
বিনিয়োগ করেছে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টে দুই হাজার ইউনিটে একটি লট নির্ধারণ করা
হয়েছে।