শেষের চ্যালেঞ্জে আবারো ব্যর্থ সিদ্দিকুর রহমান। মারকুইরিজ তাইওয়ান মাস্টার্সের শেষ রাউন্ডে খেই হারিয়ে যৌথভাবে পঞ্চম হলেন বাংলাদেশী গলফ আইকন। তার পরও এ আসর থেকে ৩৪ বছর বয়সী এ গলফারের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা!
তাইওয়ান গলফ ও কান্ট্রি ক্লাবে পারের
চেয়ে সাত শট কম খেলে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে থেকে চতুর্থ রাউন্ড শুরু করেন
সিদ্দিকুর। শীর্ষে থাকা ফিলিপাইনের মিগুয়েল তাবুয়েনার চেয়ে মাত্র দুই শট পেছনে
থেকে শেষ রাউন্ডে কোর্সে নামেন দুটি এশিয়ান ট্যুর জয়ী এ গলফার। শিরোপার সুবাস
পাওয়া অবস্থায় থেকে টানা নয় হোল সম্পন্ন করেন পারের সমান শট খেলে।
দশম ও একাদশ হোলে টানা দুটি বার্ডি
করলে পতনের সূচনা। পঞ্চদশ হোলে বার্ডি করে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। কিন্তু
পরের দুটি হোল সম্পন্ন করতে হয় পারের সমান শট খেলেই। অষ্টাদশ হোলে ডাবল বোগি করে
শেষ রাউন্ডে ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করেন ২০০৭ সালে পেশাদার সার্কিটে পা রাখা এ
গলফার। ওই হোলে পারের চেয়ে দুই শট বেশি খেলেন সিদ্দিকুর। সব মিলিয়ে পারের চেয়ে তিন
শট বেশি খেলে শেষ রাউন্ড সম্পন্ন করেন ২০১৪ সালের পর থেকে এশিয়ান ট্যুর মুকুটের
নাগাল না পাওয়া এ গলফার।
২০১৪ সালে হিরো ইন্ডিয়ান ওপেন জয়ের পর
বেশ কয়েকবার তৃতীয় এশিয়ান ট্যুর জয়ের কাছাকাছি ছিলেন সিদ্দিকুর। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই
শেষ রাউন্ডে খেই হারিয়ে সে সম্ভাবনায় জল ঢালেন। তাইওয়ানেও চাপের মুহূর্তে তাসের
ঘরের মতো ভেঙে পড়লেন ২০১০ সালে প্রথম এশিয়ান ট্যুর জয়ী এ গলফার।
থাইল্যান্ডের সুরাদিত ইয়নচারোয়েনচাই
চতুর্থ রাউন্ড শুরু করেছিলেন তৃতীয় স্থানে থেকে। শেষ রাউন্ডে পারের চেয়ে দুই শট কম
খেলে শিরোপা জিতেছেন এ গলফার। পারের চেয়ে চার শট কম খেলা ব্রাজিলের এদিসন দা সিলভা
যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থানে থেকে ৯ লাখ মার্কিন ডলারের আসর শেষ করেন। তার সঙ্গী ছিলেন
ভারতের অজিতেশ সাধু ও ফিলিপাইনের মিগুয়েল তাবুয়েনা।