হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট : দুর্গা পূজা উপলক্ষে বেড়েছে যাতায়াত

বণিক বার্তা প্রতিনিধি হিলি

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ও প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা। এ উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মাঝে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। পূজা উপলক্ষে উভয় দেশের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে মিলিত হতে পাসপোর্টের মাধ্যমে অনেকে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাচ্ছেন। আবার অনেকে ওপার থেকে আসছেন বাংলাদেশে।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ও কাস্টমস কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগে প্রতিদিন চেকপোস্ট দিয়ে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণের জন্য গড়ে ৪০০ থেকে সাড়ে ৫০০ যাত্রী দুই দেশের মাঝে পারাপার করলেও এখন সেই সংখ্যা অনেকটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০০ থেকে ১ হাজারের কাছাকাছি। বিশেষ করে গত শুক্রবার থেকে চেকপোস্ট দিয়ে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা বেড়েছে। ওইদিন হিলি চেকপোস্ট দিয়ে ৭৩১ জন যাত্রী ভারতে গেছেন। ভারত থেকে এসেছেন ৩৯০ জন। আর শনিবার ভারতে গিয়েছেন ৫২১ জন। এর বিপরীতে এসেছেন ৩৫১ জন।

বগুড়া থেকে পূজা দেখতে ভারতে যাচ্ছেন পূষ্পা রায় ও অনিল কুমার। তারা বলেন, ভারতে যাচ্ছি শারদীয় দুর্গা পূজা দেখতে। শুনেছি ভারতের প্রতিমাগুলো ও পূজা খুব সুন্দর হয়। অনেক বড় বড় আকারের প্রতিমা তৈরি করা হয়। এছাড়া বেশ জাঁকজমকপূর্ণভাবে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। সে কারণেই ভারতে যাচ্ছি। পূজা শেষে আবার দেশে ফিরে আসব।

অন্যদিকে ভারত থেকে স্বামী তাপস রায়কে নিয়ে বাবার বাড়িতে পূজা করতে এসেছেন শর্মিলা রায়। তিনি বলেন, কলকাতায় পড়ালেখা করতে গিয়ে সেখানেই আমার বিয়ে হয়। এরপর থেকেই কলকাতাতেই পূজা দেখে আসছি। ওখানকার পূজা অনেক সুন্দর। তবে এবারে একটু অন্যভাবে পূজা দেখতে ও উদযাপন করতে বাংলাদেশে এসেছি।

শর্মিলা রায়ের স্বামী তাপস জানান, কলকাতার পূজায় মানুষের প্রচণ্ড ভিড় থাকে। এ কারণে গ্রাম্য পরিবেশে নিরিবিলি পূজা উদযাপন করতে বাংলাদেশে আসা। সবচেয়ে বড় কথা আমরা সবাই বাঙালি, কোনো ভাগাভাগির কিছু নেই। এখানের অনেকে ভারতে যাচ্ছেন পূজা দেখতে। আবার ভারত থেকেও অনেকে পূজা উদযাপন করতে বাংলাদেশে আসছেন।

হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ওসি রফিকুজ্জামান জানান, গত শুক্রবার থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ও সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গা পূজা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে দুই দেশ থেকেই যাত্রীদের আসা-যাওয়া বেড়েছে। চেকপোস্ট দিয়ে সাধারণ দিনে যে পরিমাণ যাত্রী পারাপার করে, তার তুলনায় গত দুদিন থেকে যাত্রী পারাপার কিছুটা বেড়েছে। এমন অবস্থা শারদীয় দুর্গা পূজার শেষদিন দশমী পর্যন্ত চলবে। এরপর থেকে যাত্রী সংখ্যা আবার স্বাভাবিক অবস্থায় নেমে আসবে বলে জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন