যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার বাণিজ্যযুুদ্ধে সবচেয়ে বেশি লাভবান সম্ভাবনা রয়েছে ভারতের। ১০০ কোম্পানির ওপর ক্রেডিট সুইসের এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। ওই কোম্পানিগুলোর ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বৈশ্বিক বাণিজ্যের ৩৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার কোটি ডলারের রফতানি কিছুটা ধীরে হলেও অনিবার্যভাবে চীন থেকে সরে যাবে। এ জরিপটি এমন সময় প্রকাশ হলো, যখন ভারতের নয়াদিল্লিতে একই কথার প্রতিধ্বনি করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যমন্ত্রী উইলবার রস। খবর গালফ টাইমস।
ইন্ডিয়া ইকোনমিক সামিটে উইলবার রস
বলেন, বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় যে বাণিজ্য উত্তেজনা চলছে, সেখান
থেকে সুবিধা নেয়ার অসাধারণ সুযোগ রয়েছে ভারতের।
তিনি আরো বলেন, আমাদের
দেশে চীন কোন কোন পণ্য রফতানি করে,
আমরা তার একটি তালিকা করেছি। ভারতের রফতানি
পণ্যের সঙ্গে তার তুলনাও করেছি। কীভাবে আমরা তার সম্মিলন ঘটাতে পারি তা নিয়ে
ভাবছি।
আইএএনএসের পর্যালোচনায় তৈরি ক্রেডিট
সুইসের প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনে থাকা কিছু কোম্পানি তাদের কার্যক্রম ভিয়েতনাম, ভারত, তাইওয়ান
ও মেক্সিকোতে সরিয়ে নিচ্ছে।
চীনের শীর্ষ বাণিজ্য আলোচকের নেতৃত্বে
একটি প্রতিনিধি দল যখন ওয়াশিংটনে ত্রয়োদশ দফা বাণিজ্য আলোচনার জন্য আসছেন, তখনই
ক্রেডিট সুইসের জরিপ এবং মার্কিন বাণিজ্যমন্ত্রীর এ মন্তব্যটি এল।
চীন থেকে যে ৩৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার
কোটি ডলার সরে যাচ্ছে, ক্রেডিট সুইসের প্রতিবেদনে সে বিষয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ থিমের কথা বলা
হয়েছে। প্রথমত, বর্তমানে চীনের ৮০ শতাংশ তৈরি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। এতে
চীন থেকে সরে যেতে ম্যানুফ্যাকচারিং কোম্পানিগুলোর ওপর বহুমুখী চাপ সৃষ্টি হয়েছে।
ক্রেডিট সুইসের কাছে কিছু কোম্পানি
জানায়, তারা যে চীন ছেড়ে যেতে চাচ্ছে,
তা কেবল শুল্কের জন্যই নয়। সংকুচিত শ্রমশক্তি
অন্য একটি প্রধান ইস্যু। ২০৩০ সাল নাগাদ চীনের মোট শ্রমশক্তির পরিমাণ পাঁচ কোটির
নিচে নেমে আসবে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদন কার্যক্রম ভিয়েতনাম, ভারত, তাইওয়ান
ও মেক্সিকোতে সরিয়ে নিচ্ছে বলে প্রতিবেদনটিতে দাবি করা হয়।
তৃতীয় থিম হচ্ছে, অন্যান্য
দেশ যদি দ্রুত অভিযোজন ক্ষমতা কাজে লাগায়,
তাহলে তারা সুবিধা পাবে। ভিয়েতনাম অনেক ছোট দেশ
হলেও সবচেয়ে লাভবান হবে, পোশাক খাতে বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে এগিয়ে রয়েছে, ইলেকট্রনিকস
আমদানিতে বিকল্প হতে পারে ভারত,
তবে পোশাক রফতানিতে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে দেশটি।