সম্রাটকে নিয়ে তার কার্যালয়ে র‌্যাবের অভিযান

বণিক বার্তা অনলাইন

কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার হওয়া ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর কাকরাইলে তার কার্যালয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে র‌্যাব। রবিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে সম্রাটকে নিয়ে ওই কার্যালয়ে যায় র‍্যাব। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর এই ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে ছয় দিন অবস্থান করেছিলেন সম্রাট। পরে তিনি গা ঢাকা দেন। 

আজ রবিবার ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে সম্রাট ও যুবলীগের আরেক নেতা এনামুল হক আরমানকে আটক করে র‍্যাব। সেখান থেকে তাদের দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর উত্তরায় র‍্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিয়ে অভিযানে বের হয় র‍্যাব।

র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলমের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি দল কাকরাইলে ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে তালা ভেঙে সম্রাটের কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়ে। কার্যালয়ে অভিযানের পাশাপাশি রাজধানীতে সম্রাটের তিনটি বাসাতেও অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব। প্রায় একই সময়ে মহাখালীতে সম্রাটের দ্বিতীয় স্ত্রীর একটি বাসা এবং শান্তিনগর ও ধানমন্ডিতে সম্রাটের দুটি বাসায় অভিযান শুরু করে র‌্যাব।

তবে অভিযান সম্পর্কে এখন পর্যন্ত কোন কিছু জানানো হয়নি। অভিযান শেষে র‌্যাবের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবাদিকদের ব্রিফ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

এদিকে যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী ওরফে সম্রাটকে সংগঠনটি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দুপুরে গণমাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ।

সম্প্রতি রাজধানীতে ক্লাব ব্যবসার আড়ালে অবৈধভাবে চলা বেশ কিছু ক্যাসিনোতে অভিযান চালায় র‌্যাব। এগুলোর সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতার হন যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া, জিকে শামীম। জিজ্ঞাসাবাদে তারা চাঞ্চল্যকর কিছু তথ্য প্রকাশ করেন। এরা দুজনই যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটের অধীনস্ত ছিল বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়েছে এবং নিয়মিত সম্রাটকে টাকার ভাগও দিতেন তারা। সম্রাট ঢাকার জুয়াড়িদের কাছে ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন