বস্ত্র খাতের কোম্পানি শাশা ডেনিমসের ৫৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছর। এরই মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি। তবে এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত জানায়নি বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ রেখেছে শাশা ডেনিমস।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, আগামী পাঁচ বছর বা ২০২৪ সালের মধ্যে মেয়াদ শেষ হচ্ছে সাত কোম্পানির ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের। এর মধ্যে আছে সামিট পাওয়ারের আটটি, ডরিন পাওয়ারের তিনটি এবং ওরিয়ন ও খুলনা পাওয়ারের দুটি করে বিদ্যুৎকেন্দ্র। একই সময়ের মধ্যে মেয়াদ শেষ হবে বারাকা পাওয়ার, জিবিবি পাওয়ার ও শাহজীবাজার পাওয়ারের একটি করে বিদ্যুৎকেন্দ্রের।
দেশে বিদ্যুতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে একসময় ছোট আকারের এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দিয়েছিল সরকার। কিন্তু স্থাপিত উৎপাদন সক্ষমতা এরই মধ্যে চাহিদাকে ছাড়িয়ে গেছে। উৎপাদনের অপেক্ষায় আছে বড় ও মাঝারি একাধিক কোম্পানি। নির্মাণাধীনও আছে বেশ কয়েকটি। এ অবস্থায় ছোট বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আর না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত রয়েছে সরকারের। গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ যদি বাড়ানো হয়ও, সেক্ষেত্রে ক্যাপাসিটি চার্জ বাবদ অর্থ পাবে না এসব কেন্দ্র।
বিপিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ বণিক বার্তাকে বলেন, এইচএফওভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আর কোনোভাবেই বাড়ানো হবে না। আমরা এ সিদ্ধান্তে অটল রয়েছি। আর গ্যাসভিত্তিক যে বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো রয়েছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে যদি পর্যাপ্ত গ্যাস পাওয়া যায় এবং বিদ্যুতের চাহিদা থাকে, তাহলে মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আমরা ‘নো ইলেকট্রিসিটি নো পেমেন্ট’ নীতি অনুসরণ করব।
আগামী পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি আটটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হবে সামিট পাওয়ারের। এর মধ্যে কোম্পানিটির জাঙ্গালিয়া-কুমিল্লার ৩৩ মেগাওয়াট, মাওনা-গাজীপুরের ৩৩, রূপগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জের ৩৩ ও উল্লাপাড়ার ১১ মেগাওয়াট কেন্দ্রের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালে। ২০২১ সালে শেষ হবে সামিটের ১০২ মেগাওয়াটের এসএনপিএল, ২৪ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট সক্ষমতার মাধবদী-২ ও ১৩ দশমিক ৫০ মেগাওয়াট সক্ষমতার চান্দিনা-২ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির। আর কোম্পানিটির ৩৩ দশমিক ৭৫ মেগাওয়াট সক্ষমতার আশুলিয়া-সাভার-২ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মেয়াদ শেষ হবে ২০২২ সালে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মধ্যে এসএনপিএল হচ্ছে এইচএফওভিত্তিক। বাকিগুলো গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।
জানতে চাইলে সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক এবং
- ব্যাংকের সিএসআর ব্যয়ের ৪৪ শতাংশই ‘অন্যান্য’ খাতে
- কূপ খননে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে তিন বিদেশী কোম্পানি
- বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার ইতিহাস ১৯৭৫ সালের পর বিকৃত করা হয়েছে
- ভারত থেকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ কিনবে সরকার
- পদ্মা সেতু ঘুরে দেখলেন ভুটানের রাজা
- চীনের পর বাংলাদেশের বড় বাণিজ্যিক অংশীদার আসিয়ান