সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল

বিশ্বনিন্দিত কয়লার ভাগাড় হতে চলেছে বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ বিশ্বনিন্দিত কয়লার ভাগাড় হতে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল। গতকাল রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন তিনি।

ইউনেস্কোর ৪৩তম সভার সব সুপারিশ বাস্তবায়ন, সুন্দরবনের পাশে রামপালসহ সব শিল্প নির্মাণপ্রক্রিয়া বন্ধ সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৌশলগত পরিবেশ সমীক্ষা সম্পন্ন করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক . মো. আব্দুল মতিনের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুলতানা কামাল।

তিনি বলেন, সারা বিশ্ব যখন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত মহাসংকট নিয়ে ব্যতিব্যস্ত তখন বাংলাদেশ কতিপয় খোঁড়া যুক্তির ভিত্তিতে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে চলেছে। অথচ কয়লা হলো সবচেয়ে নিকৃষ্ট জ্বালানি, আর ভালো কয়লা একটি নিকৃষ্ট মিথ্যা কথা। উন্নয়ন বা বিদ্যুতের জন্য কয়লা, এমনকি কোনো জীবাশ্ম জ্বালানিরই প্রয়োজন নেই। রাষ্ট্রপরিচালকদের মন পরিষ্কার থাকলেই আমাদের অফুরন্ত পরিষ্কার বিকল্প জ্বালানি চোখে পড়বে।

মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানের কথা স্মরণ করে সুলতানা কামাল বলেন, ভারত আমাদের পাশে না থাকলে স্বাধীনতা যুদ্ধ যেভাবে শেষ হয়েছে সেভাবে হয়তো শেষ করা সম্ভব হতো না। সেজন্য অবশ্যই ভারতের প্রতি কৃতজ্ঞও। কিন্তু আজকে বাংলাদেশকে ভারত একটা বাজারের জায়গা বানিয়ে নিজেরা সব সুবিধা নিচ্ছে। স্বাধীনতার আগে সব সুযোগ-সুবিধা যেত পশ্চিম পাকিস্তানে আর শোষণ হতো পূর্ব পাকিস্তানে, তখন যত ক্ষতিকর প্রকল্প সব হতো পূর্ব পাকিস্তানে। তেমনিভাবে বর্তমান বাংলাদেশে যত ক্ষতিকর প্রকল্প তা যৌথভাবে করছে ভারত। সেটা করতে যে পণ্য ব্যবহূত হবে তা হতে হবে ভারতীয় এবং সব সুযোগ-সুবিধাও নিয়ে যাবে ভারত। এই জায়গায় মনে হয় চিন্তাভাবনার সময় এসেছে।

তিনি আরো বলনে, রামপালের প্রকল্প নির্মাতা ভারতীয় কোম্পানি এনটিপিসি তাদের নিজ দেশ ভারতে সব কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প স্থগিত করেছে। কারণ তারা কার্বন তৈরিতে নিজেদের দায় কমাতে চায়। একই সঙ্গে তারা গুজরাটে বিশ্বের বৃহত্তম সৌরশক্তি পার্ক স্থাপনে ২৫ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতের কয়েকটি রাজ্যের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র অর্ধদিবস বন্ধ রাখার কথাও জানিয়েছে। অথচ ওই একই প্রতিষ্ঠান প্রবল গণআপত্তির মুখেও বাংলাদেশে কয়লা বিদ্যুৎ তৈরিতে পিছপা হচ্ছে না। এটি নিঃসন্দেহে একটি দায়িত্বজ?

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন