বগুড়ার শেরপুরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত ৩ নং ওয়ার্ডের বর্ধিত সভায় এ ঘটনা ঘটে। দলীয় নির্দেশনা অনুযায়ী নতুন সদস্য ভর্তি ও পুরনো সদস্য নবায়ন করতেই স্থানীয় কানাইকান্দর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ওই সভা ডাকা হয়।
আহতরা হলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী আগলু ও আওয়ামী লীগ কর্মী আবু সিদ্দিক। আর বাকিদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ কর্মী আবু সিদ্দিক জানান, বর্ধিতসভার শেষ পর্যায়ে ৩০-৩৫টি মোটরসাইকেলযোগে কিছু বহিরাগত সন্ত্রাসী অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। একপর্যায়ে তারা বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে তাদের বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেছে। ঘটনাটি নিয়ে দলের ঊর্ধ্বতন নেতাদের সঙ্গে আলোচনাসাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
শাহবন্দেগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রিপন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অনুযায়ী শাহবন্দেগী ইউনিয়নে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও পুরনো সদস্য নবায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ইউনিয়নের নয়টি ওয়ার্ডে বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়েছিল। এর আগে দুটি ওয়ার্ডের বর্ধিত সভা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্নও হয়েছে। কিন্তু ৩ নং ওয়ার্ডের বর্ধিত সভা চলাকালে বহিরাগত কয়েকজন যুবক সভায় হামলা চালায়। এমনকি সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের বেধড়ক মারপিট করে আহত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বগুড়ার শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
