গত বছর সেভিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে হাতে মারাত্মক চোট পেলেন মেসি। ম্যাচ শেষে সোজা চলে যান সিটগেস। সমুদ্র তীরবর্তী ছোট্ট এ শহরেই রয়েছে তার নিজের চারতারা মিম সিটগেস হোটেল, যাতে রয়েছে বুটিক স্পট আর স্পা সেন্টার। ইনজুরিতে থাকাকালে যে অপ্রত্যাশিত ‘ছুটি’ মিলে যায়, সেটুকু তিনি ব্যবহার করেন মিম সিটগেস হোটেলের স্টাফদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও একটু বিশ্রাম নিতে।
বার্সেলোনা শহর থেকে ২৬ মাইল দূরবর্তী শহর সিটগেস, যার বাসিন্দা প্রায় ২৬ হাজার। এ শহরে যত মানুষের আনাগোনা, তার বড় একটি অংশই আসে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে। এখানকার বাসিন্দার ৩৫ শতাংশই নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলো থেকে আগত।
ম্যাজেস্টিক হোটেল গ্রুপের সঙ্গে মিলে ইবিজা ও মায়োর্কায় হোটেল ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে মেসির। এছাড়া বার্সেলোনা ও সিটগেসে নিজের বাড়ি রয়েছে মেসির। মিম সিটগেস হোটেল তো রয়েছেই। সব মিলিয়ে স্পেনে কোটি কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করেছেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি, যিনি বর্তমানে ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড়।
সিটগেসকে বলা হয় ‘স্পেনের সেন্ট-ট্রপেজ’। ফরাসি সমুদ্র তীরবর্তী শহরটির মতোই বেশ আবেদন রয়েছে এ শহরের। এখানে সমুদ্র থেকে মাত্র ১০০ ফুট দূরে দাঁড়িয়ে থাকা কোনো হোটেলে বিনিয়োগ করা যে ভীষণ লাভজনক হবে, তা উপলব্ধি করতে পেরেছিলেন মেসি। তাই তো কোনো দ্বিধা না করেই ২০১৭ সালে ২৬ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ করে এ হোটেলের মালিকানা নেন তিনি।
ইবিজা ও মায়োর্কার মতো সিটগেসেও মেসির হোটেলটির ব্যবস্থাপনা করে থাকে ম্যাজেস্টিক হোটেল গ্রুপ। তাই এ নিয়ে খুব একটা ভাবতে হয় না বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে। তিনি নিজের খেলা নিয়েই ব্যস্ত থাকতে পারেন। এ হোটেলে রয়েছে ৭৭টি বেডরুম, পাঁচটি জুনিয়র স্যুইট, একটি বড় স্যুইট। ব্যস্ত মৌসুমে কোনো স্ট্যান্ডার্ড রুমে থাকতে প্রতি রাতে আপনার খরচ পড়বে ১০৫ পাউন্ড।
ছাদে ‘স্কাই বার’ থাকায় পর্যটকদের কাছে হোটেলের আকর্ষণ বেড়েছে বহুগুণ। এছাড়া রয়েছে পুল, শহরের প্যানারমিক দৃশ্য দেখার সুযোগ, আর সামনেই ভূমধ্যসাগরের সৌন্দর্য অবলোকনের হাতছানি। শরীরকে একটু চাঙ্গা করতে স্পার ব্যবস্থা তো রয়েছেই। স্পা সেন্টারে ট্রিটমেন্ট ও ম্যাসাজ ছাড়াও রয়েছে হাইড্রোথেরাপি (২৫ পাউন্ড), যার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত সাউনা, তুর্কি গোসল, ঠাণ্ডা পানির বাথ, লবণাক্ত পানির পুলসহ নানা কিছু।
স্পা সেন্টারে দম্পতি সেবা নিতে পারবে