পাম অয়েল আমদানিতে রেকর্ড করতে পারে ভারত

বণিক বার্তা ডেস্ক

জুলাইয়ে মালয়েশিয়ান বেঞ্চমার্কে পাম অয়েলের দাম কমে গত চার বছরের সর্বনিম্নে নেমে আসে। এ সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যটির চাহিদা কমে আসায় রফতানি কমে যায়। ফলে দামও কমে যায়। কিন্তু এ অবস্থা খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না বলে মনে করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। আসন্ন বিপণন বর্ষে ভারতের পাম অয়েল আমদানি বেড়ে রেকর্ড করতে পারে। এর প্রভাবে পণ্যটির দামে চাঙ্গা ভাব ফিরে আসতে পারে। খবর ইন্ডিয়া টুডে।

আগামী নভেম্বরে ভারতে শুরু হতে যাচ্ছে ২০১৯-২০ বিপণন বর্ষ। দেশটির বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান জিজি প্যাটেল ও নিখিল রিসার্চ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোবিন্দভাই প্যাটেল বলেন, এবার বিপণন বর্ষে ভারতে পাম অয়েলের আমদানি বেড়ে ৯৭ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে। মূলত ভোজ্যতেলের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় আমদানিও বাড়াবে দেশটি। আর ভোজ্যতেলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আমদানি হতে পারে পাম অয়েল।

চার দশকের বেশি সময় ধরে ভোজ্যতেলের ব্যবসায়ী প্যাটেলের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ সময়ে দেশটিতে মোট ২ কোটি ৩৬ লাখ টন ভোজ্যতেল ব্যবহার হতে পারে। আর সম্মিলিত ভোজ্যতেল আমদানি দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ৫৬ লাখ টন, যা আগের বছরের তুলনায় ৩ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।

মোট আমদানীকৃত ভোজ্যতেলের মধ্যে পাম অয়েল আমদানি হতে পারে দুই-তৃতীয়াংশ। দেশটি সাধারণত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে পাম অয়েল ক্রয় করে। সয়াবিন তেল আমদানিতে নির্ভর করে আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ওপর। আর সূর্যমুখী তেল আমদানি করে ইউক্রেন থেকে।

এবার দেশটি মোট ৩৪ লাখ টন সয়াবিন তেল আমদানি করতে পারে। গত বিপণন বর্ষে এর পরিমাণ ছিল ৩১ লাখ টন। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে পণ্যটির আমদানি বাড়তে পারে ৩ লাখ টন। মূলত সয়াবিনের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা মেটাতে আমদানি বাড়াবে দেশটি। দেশটির প্রধান সয়াবিন উৎপাদনকারী রাজ্য মধ্য প্রদেশে দীর্ঘকালীন ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সয়াবিন উৎপাদন কমে গেছে। আগের বছরের তুলনায় এবার পণ্যটির উৎপাদন ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ কমে ৯০ লাখ টনে দাঁড়াতে পারে।

তবে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে ভারতে এবার চীনাবাদাম ও তুলার বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। এছাড়া এতে জমির যথেষ্ট আর্দ্রতা বজায় থাকায় কৃষকরা শীতকালীন তেলবীজ বপনে উৎসাহিত হয়ে উঠবেন, যা এ-জাতীয় পণ্যের আবাদি জমির পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারে।

ভারত বিশ্বের শীর্ষ সূর্যমুখী তেল ভোক্তা দেশ। এবার দেশটিতে সূর্যমুখী তেল আমদানির পূর্বাভাস করা হয়েছে মোট ২৫ লাখ টন। আগের বছরে এর পরিমাণ ছিল ১৪ লাখ টন। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে পণ্যটির আমদানি বাড়তে পারে ১১ লাখ টন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন