চলতি বছরের ইস্পাতের বৈশ্বিক মূল্য পূর্বাভাসে সম্প্রতি সংশোধন এনেছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ফিচ সলিউশন ম্যাক্রো রিসার্চ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, এবার ধাতুটির দাম আরো কমে আসবে এবং দরপতনের এ ধারা আগামী কয়েক বছর অব্যাহত থাকতে পারে। মূলত মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের জেরে ক্রমেই শ্লথ হয়ে আসা বৈশ্বিক অর্থনীতি এর পেছনে প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। খবর বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড ও বিজনেস লাইন।
ফিচ সলিউশনের মতে, এ
সময়ে বিশ্বব্যাপী পণ্যটির উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। তবে দুর্বল অর্থনীতি ও
নির্মাণশিল্পে মন্দার কারণে ধাতুটির ব্যবহার কমে আসবে। ফলে চাহিদা অনুপাতে
বিশ্ববাজারে ইস্পাতের সরবরাহ বেড়ে যাবে,
যা পণ্যটির মূল্য কমিয়ে আনতে পারে।
প্রতিষ্ঠানটির একটি বিবৃতিতে বলা
হয়েছে, চলতি বছরে প্রতি টন ইস্পাতের গড় দাম
৬৫০ মার্কিন ডলার থেকে ৬০০ ডলারের
মধ্যে থাকতে পারে। বাণিজ্যযুদ্ধের ফলে সৃৃষ্ট অর্থনৈতিক মন্দা ধাতুটির দাম কমাতে
প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে।
ইস্পাতের ভাগ্য অনেকটা নির্ভর করে
চীনের ওপর। বিশ্বের মোট উত্তোলনের ৫৩ শতাংশ উত্তোলিত হয় চীনে। এছাড়া দেশটি
ইস্পাতের শীর্ষ ভোক্তা দেশ। এ কারণে চীনে ধাতুটির চাহিদা বৃদ্ধি বা হ্রাস পেলে
আন্তর্জাতিক বাজারে এর বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। দেড় বছর ধরে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের
প্রভাবে দেশটিতে নির্মাণশিল্পে মন্দা চলছে। পণ্যটির উত্তোলন আগের তুলনায় বাড়ালেও
আমদানি ও ব্যবহার সীমিত হয়ে পড়েছে। এটাই পণ্যটির দাম কমে যাওয়ার প্রধান কারণ।
প্রতিষ্ঠানটির বিবৃতিতে প্রত্যাশা করা
হয়েছে, চীনে শিগগিরই ধাতুটির চাহিদায় চাঙ্গা ভাব ফিরে আসবে, যা
পণ্যটির বাজারকে বড় ধরনের পতন থেকে রক্ষা করবে। এর আগে বাণিজ্য বিরোধ নিরসনে
যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক হলেও তা সফল হয়নি।
আগামী সপ্তাহে ফের আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। এ বৈঠক সফল হতে পারে বলে মনে করছেন
খাতসংশ্লিষ্টরা।