দেশের খবর

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়া দরিদ্র মেধাবী যমজ দুই বোন সাদিয়া আক্তার সুরাইয়া ও নাদিরা ফারজানা সুমাইয়ার পড়াশোনার দায়িত্ব নিয়েছেন বাগেরহাট জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ। গতকাল দুপুরে সার্কিটে হাউজে মেধাবী ওই দুই শিক্ষার্থী ও তার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে একথা জানান তিনি।

এ সময় বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান, মোহাম্মাদ শাহজাহান, মো. রাহাত উজ্জামান, শিক্ষার্থীদের মা শাহিদা বেগম, কাউন্সিলর মোল্লা নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সরদার নাসির উদ্দিন মেধাবী ওই দুই শিক্ষার্থীকে দুটি সেলফোন উপহার দেন।

তিনি বলেন, বাগেরহাটে এ রকম দুজন মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে, বিষয়টি জানতে পেরে সবাই তাদের বাড়িতে যায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়কে বিষয়টি অবহিত করি। মেধাবী ওই মেয়েরা যাতে নির্বিঘ্নে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেন, সে ব্যবস্থা করতে বলেছেন। আমরা সবসময় মেধাবীদের পাশে থাকব।

এছাড়া বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানও এ মেধাবী দুই শিক্ষার্থীকে পড়াশোনার জন্য ৫০ হাজার টাকা সহায়তার ঘোষণা দেন।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, বর্তমান সমাজে মানুষের মনমানসিকতার পরিবর্তন হচ্ছে। দেশ যেমন এগিয়ে যাচ্ছে, মানুষও সহযোগিতায় এগিয়ে আসছে। তাই দুই বোনের লেখাপড়ার জন্য আমরা জেলা প্রশাসন থেকে সহযোগিতা করব। পড়াশোনা করে, তারা ভালো মানুষ হবে এ প্রত্যাশা করি।

বাগেরহাট সদর উপজেলার হরিণখানা এলাকার রাজমিস্ত্রি মহিদুল হাওলাদারের দুই যমজ মেয়ে সাদিয়া আক্তার সুরাইয়া ও নাদিরা ফারজানা সুমাইয়া। অর্থাভাবে টিউশনি করে পড়াশোনা চালিয়েছেন তারা। এরপরও মাধ্যমিকে বাণিজ্য বিভাগে সুরাইয়া ৪.৮৬, সুমাইয়া ৪.৯১ এবং উচ্চ মাধ্যমিকে দুই বোনই গোল্ডেন এ প্লাস পান। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় গ-ইউনিটে বাণিজ্য অনুষদে সুমাইয়ার মেধাক্রম ৮৪৬ এবং সুরাইয়ার মেধাক্রম ১১৬৩। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের ভর্তির শেষ দিন ৩১ অক্টোবর।

মা শাহিদা বেগম বলেন, অনেক অর্থকষ্টে থাকার পরও মেয়েদের পড়াশোনা করিয়েছি। মেয়রা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর অনেক চিন্তায় পড়েছিলাম। সবাই যখন সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন। তাই এখন একটু ভারমুক্ত হয়েছি।

সাদিয়া আক্তার সুরাইয়া বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার পর এক ধরনের অনিশ্চয়তা কাজ করছিল মনের মধ্যে। জেলা প্রশাসক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান