চরম বেকারত্ব, নিম্নমানের পরিষেবা ও সরকারি কর্মকর্তাদের সীমাহীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইরাকের সাধারণ মানুষের চারদিনের বিক্ষোভ-সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ৭২-এ পৌঁছেছে এবং আহত হয়েছে কয়েকশ। দেশটির নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যসংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। অন্যদিকে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের মুখে রাজধানী বাগদাদে জারি করা কারফিউ গতকাল প্রত্যাহার করে নিয়েছে সরকার। খবর রয়টার্স।
কারফিউ প্রত্যাহার করার পর ইরাকের রাজধানীতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। তবে যেসব জায়গায় পুলিশ ও বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হয়েছে, সে স্থানগুলো অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।
ইরাকের আধাসরকারি হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটস জানিয়েছে বিক্ষোভ করায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকশ মানুষকে গ্রেফতার করলেও পরে তাদের বেশির ভাগকেই ছেড়ে দিয়েছে।
এদিকে ক্ষোভ প্রশমনে সরকারের ব্যর্থতার তীব্র সমালোচনা করে ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতা মোকতাদা আল সদর পার্লামেন্ট ভেঙে দিয়ে আগাম নির্বাচনের দাবি তুলেছেন। ইরাকের মানুষের প্রয়োজন মেটানোর উপযুক্ত কোনো কর্মসূচি ইরাকি সরকার হাতে না নেয়া পর্যন্ত অনুসারী সাংসদদের পার্লামেন্ট বয়কটেরও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এ বিবৃতিতে এ শিয়া নেতার কার্যালয় বলছে, ইরাকিদের রক্তের প্রতি শ্রদ্ধা দেখাতে সরকারের পদত্যাগ ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নজরদারিতে নতুন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়া উচিত।
তিনদিনের বিক্ষোভ সহিংসতায় ১৯০ জনের বেশি আহত হওয়ার পর শুক্রবার ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি আন্দোলনকারীদের শান্ত হওয়ার আহ্বান জানান। ১ অক্টোবর শুরু হওয়া বিক্ষোভ সহিংসতায় শুক্রবার সবচেয়ে বেশি হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
ইরাকের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, শুক্রবার ‘অজ্ঞাত স্নাইপারদের’ গুলিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
১ সেপ্টেম্বর থেকে চাকরি সংকট, নিম্নমানের সরকারি পরিষেবা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাগদাদের রাজপথে নামে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী। তারা নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক দলের অনুসারী নয়। সরকারের অনিয়মের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের কথা জানিয়ে রাজপথে নামেন তারা। তবে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ও গুলি চালিয়ে চড়াও হলে এ বিক্ষোভ আরো জোরালো হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন শহরে। বিশেষ করে শিয়া অধ্যুষিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বেশ কয়েকটি শহরে বিক্ষোভ ব্যাপক আকার ধারণ করে। বিক্ষোভের একপর্যায়ে কারফিউ জারি করে ইরাকের সরকার।
২০১৭ সালে ইসলামিক স্টেট পরাজিত ঘোষণার পর এবারই এমন প্রাণঘাতী অস্থিরতা দেখল ইরাক এবং এটি প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদির সরকারকে নাড়িয়ে দিয়েছে। ইরাকের সরকার বড় ধরনের সংস্কার বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি
- গাজায় দুর্ভিক্ষের খুব বেশি ঝুঁকি দেখছেন মার্কিন কর্মকর্তা
- গাজার দুই হাসপাতালে গণকবরের সন্ধান
- পাঁচ অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু, তবু রুয়ান্ডা নীতিতে অনড় ঋষি সুনাক
- মালয়েশিয়ায় দুটি হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১০ জন নিহত
- তাইওয়ানে ৮০টির বেশি ভূমিকম্প অনুভূত
- শ্রীলঙ্কায় রেসিং কারের ধাক্কায় নিহত সাত