চলমান বিক্ষোভ দমনে শুক্রবার ঔপনিবেশিক যুগের জরুরি আইন প্রয়োগের ঘোষণা দিয়েছে হংকং। এ ঘোষণার পর শহরজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে মেট্রো চলাচল। সরকারের জরুরি আইন প্রয়োগের ঘোষণায় শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের আগেই বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট ও ব্যাংক। খবর গার্ডিয়ান ও রয়টার্স।
শুক্রবারের ঘোষণায় গতকাল থেকে গণজমায়েতে মাস্ক ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করায় ও ব্রিটিশ আমলের জরুরি আইন প্রয়োগের কথা ছড়িয়ে পড়ায় শহরটির জনগণ ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। প্রসঙ্গত, গত অর্ধশত বছরেরও বেশি সময়ে ঔপনিবেশিক যুগের ওই জরুরি আইন কখনো প্রয়োগ করা হয়নি।
জরুরি আইনের অধীনে শহরটির প্রশাসন কারফিউ জারি, গণমাধ্যম ও যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত বা নিয়ন্ত্রণ করার বৈধতা পাবে। একই বলে শহরটির স্থানীয় নির্বাচন নভেম্বর থেকে পিছিয়ে দেয়ার ক্ষমতা থাকছে শহরটির প্রধান নির্বাহী ক্যারি লামের। আইনসভার অনুমোদন পাওয়ায় জনস্বার্থে যেকোনো ধরনের নীতিমালা ও আইন প্রণয়ন করতে পারবে লাম প্রশাসন।
এদিকে হংকংয়ের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সুষ্ঠু তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান মিশেল বাচলেট। শহরটির সাম্প্রতিক হতাহতের ঘটনা উদ্বেগজনক বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। বাচলেট বলেন, হংকংয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে ঘোরতর সহিংস ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। পুলিশ-বিক্ষোভকারী আহত হওয়া, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে একজন সাংবাদিকসহ বিক্ষোভকারীদের গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত।
