সুপারহিরো ছবি এ সময়ে শুধু হলিউড নয় বিশ্বচলচ্চিত্রও কাঁপিয়ে দিচ্ছে, আয়ের দিক থেকে তো বটেই। কিন্তু এ সময়ের চলচ্চিত্রের খুবই শ্রদ্ধাভাজন পরিচালকদের একজন মার্টিন স্করসেস, সুপারহিরো সিনেমা নিয়ে বিরক্ত, তার অপছন্দের কথা তিনি বলতে কসুর করেননি। মার্টিন স্করসেস ট্যাক্সি ড্রাইভার, রেজিং বুল, গুডফেলাস ছবির পরিচালক। তার নেটফ্লিক্সের প্রযোজনায় নতুন ছবি দ্য আইরিশম্যান শিগগিরই মুক্তি পাবে।
এ পরিচালক এম্পায়ার ম্যাগাজিনের কাছে
বলেছেন, মার্ভেল সিনেমাটিক ইউনিভার্সের ছবি এখন আর তিনি দেখেন না। তিনি
ব্যাখ্যা করে বলেছেন, এ ধারার সঙ্গে দৌড়ানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন।
‘আমি চেষ্টা করেছি,
বুঝলেন?
কিন্তু এগুলো সিনেমা না।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘সত্যি
কথা হলো, বড়জোর এটুকু বলতে পারি,
নির্মাণের দিক থেকে এগুলো খুবই ভালো, থিম
পার্কের মতো অভিনেতারা সবাই তাদের সর্বোচ্চটুকু দিচ্ছেন। কিন্তু এগুলো মানুষের
কোনো চলচ্চিত্র নয়। অন্য কোনো ধরনের মানুষের আবেগ, মানসিক অভিজ্ঞতার কথা জানানো হচ্ছে
এখানে।’
এ বছরের শুরুর দিকে অ্যাভেঞ্জারস: এন্ড
গেম সর্বোচ্চ আয়ের বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে,
২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে বক্স অফিস থেকে।
একই স্টুডিও থেকে মুক্তি পাওয়া আরো আটটি চলচ্চিত্র সেরা ৩০ ছবির তালিকায় রয়েছে।
মার্ভেল প্রধান কেভিন ফাইগি গত বছর
স্করসেসের এ ধরনের সমালোচনার জবাবে বলেছিলেন,
সিরিজটির পুরস্কার না পাওয়ার মানে এ নয় যে
মানসম্পন্ন হচ্ছে না বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার ঘাটতি রয়েছে।
‘হয়তো ভিজ্যুয়াল এফেক্ট কিংবা উড়ন্ত মানুষ কিংবা মহাশূন্যযান কিংবা
বিলিয়ন ডলার আয় বাতিল করে দেয়া সহজ’—বলেন ফাইগি। ‘আমি মনে করি এটা বলাও সহজ যে,
আপনি পুরস্কার পাচ্ছেন একটি নিশ্চিত উপায়
অবলম্বন করেই। আলফ্রেড হিচকক কখনই শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পাননি, খুব
ভালো কথা, কিন্তু তার মানে এটাই সব কিছু নয়। আমি বরং হলভর্তি মনোযোগী ভক্তদের
মধ্যেই থাকতে চাই।’
স্করসেসের সাম্প্রতিক চলচ্চিত্র দ্য
আইরিশম্যান গত সপ্তাহে নিউইয়র্ক চলচ্চিত্র উৎসবের প্রিমিয়ারে ব্যাপক শোরগোল ফেলতে
সক্ষম হলেও পাশাপাশি পুরনো হয়ে যাওয়া প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে সমালোচিতও হয়েছে।
আর এ মুহূর্তে বিভিন্ন দেশে চলা টড
ফিলিপসের জোকার এক সংশোধনবাদী ডিসি খলনায়কের কাহিনী, যার বেশির ভাগ ১৯৮৩ সালে স্করসেসের
বানানো দ্য কিং অব কমেডি থেকে ধার করা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান