নদীর পানিকে মানবাধিকার হিসেবে গণ্যের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আইনে নতুন মাত্রা হিসেবে যোগ হয়েছে

ড. আসিফ নজরুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক। স্নাতক স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে। ১৯৯৮ সালে আন্তর্জাতিক নদী আইনে পিএইচডি করেন ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের স্কুল অব ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ (সোয়াস) থেকে। জার্মানির এনভায়রনমেন্টাল সেন্টার থেকে এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের ওপর পোস্টডক্টরেট করেন। পরবর্তী সময়ে সোয়াস থেকে আরেকটি পোস্টডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি কিছুদিন কাজ করেছেন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে। সাংবাদিক হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে সাপ্তাহিক বিচিত্রায়। পরে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। দীর্ঘদিন পর সাহিত্যচর্চাও করছেন নিয়মিত। সম্প্রতি তিনি নদী আইনের বিভিন্ন নতুন বিষয়, আন্তর্জাতিক প্রসঙ্গ, বাংলাদেশের স্বার্থ, নদী ভরাট দখলসহ নিজের নতুন কাজ সম্পর্কে বণিক বার্তার সঙ্গে কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন রুহিনা ফেরদৌস

আপনি যে সময় পিএইচডি শেষ করেছেন তার পর থেকে নদী আইন কতদূর এগিয়েছে?

আমি পিএইচডি করেছি ১৯৯৮ সালে। তখন নদী আইনের মধ্যে পরিবেশগত বিষয়গুলো এতটা প্রাধান্য লাভ করেনি। তবে পরবর্তী সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু অগ্রগতি ঘটে। ২০০৪ সালে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন বার্লিন রুলস প্রণয়ন করে, যেখানে নদীর পানি ব্যবহার নদী ব্যবস্থাপনায় নদীনির্ভর পরিবেশের ওপর খুব গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি অনেক বড় আরেকটা ঘটনা ঘটেছে। ইউএনইসিই (ইউনাইটেড নেশন ইকোনমিক কমিশন ফর ইউরোপ) আন্তর্জাতিক নদী লেকগুলো রক্ষার জন্য ১৯৯২ সালে একটা কনভেনশন বা চুক্তি প্রণয়ন করেছিল। সেখানে বিভিন্ন পরিবেশগত বিধান রাখা হয়েছিল। যেমন কোনো দেশ একতরফা বা পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কোনো প্রকল্প নিতে পারবে না, যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণের আগে পরিবেশের ওপর কী কী প্রভাব পড়বে, তা বিশদভাবে যাচাই করতে হবে ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক আইন ইউরোপের দেশগুলো মেনে চলে। তারা কেবল পরিবেশ রক্ষাই করে না, নদীকে যৌথ সম্পত্তির মতো ব্যবহার করে। যৌথ সম্পত্তি যেভাবে ভোগ করা হয়, রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়, উন্নয়ন করা হয়, সেভাবে একটা নদীর সব অববাহিকা যৌথভাবে রক্ষণাবেক্ষণ, পরিবেশ রক্ষা, উন্নয়ন ব্যবহার করা হয়। ২০১৫ সালে কনভেনশনটা উন্মুক্ত করে দেয়া হয় যে, পৃথিবীর যেকোনো রাষ্ট্র এখন থেকে আইনগুলো অনুসরণ করতে পারবে। কনভেনশনটি উন্মুক্ত করার পর আফ্রিকার দুটি দেশ শাদ সেনেগাল এর সদস্য হয়। বাংলাদেশের জন্যও এটা অনেক বড় একটা সুযোগ ছিল। বাংলাদেশ যদি এর সদস্য হয়, তাহলে বাংলাদেশ অন্য দেশের কাছে দাবি করতে পারত যে আমি ১৯৯২ সালের কনভেনশনের মতো উন্নত একটা আইনে বিশ্বাস করি কাজেই আমার ক্ষেত্রে সম্মান দেখাতে হবে। বাংলাদেশ উজানে ক্ষতিকর প্রকল্পের বিরুদ্ধে ইউরোপ বিভিন্ন উন্নয়ন সহায়তা প্রতিষ্ঠানে সহানুভূতি সমর্থন পেত। কিন্তু এটি আমরা করিনি, করার কথা কেন যেন বিবেচনাও করছি না।

 

আন্তর্জাতিক পরিবেশ আইনে নদী ব্যবহারসংক্রান্ত বিধান আছে কি?

অবশ্যই আছে, যেমন জলবায়ু

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন