দক্ষিণ আটলান্টিকের দুর্গম এক দ্বীপের উপকূলে জমা হয়েছে প্রায় হাজার হাজারর প্লাস্টিক বোতল। খতিয়ে দেখা গেছে, এগুলোর মধ্যে ৭৫ শতাংশ বোতল এসেছে এশিয়া থেকে, আর এসব বোতলের বেশিরভাগই চীনে তৈরি।
গবেষকরা বলেছেন, জমা হওয়া এসব বোতলের বেশিরভাগই সম্প্রতি তৈরি করা, আর এগুলো জাহাজ থেকে ফেলে দেয়ার কারণে এখানে এসে জমা হয়েছে। গবেষকদের অনুমান অনুযায়ী, প্রায় ১২ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক প্রতি বছর এই মহাসাগরে এসে জমা হয়। তবে এই সংখ্যাটা কেবল ভূমিতে এসে জমা হওয়া প্লাস্টিকের।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা ও কানাডা থেকে আসা একটি দল প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্সেসে (পিএনএএস) প্রকাশিত নিবন্ধে লিখেছেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে- সমুদ্রে যে পরিমাণ প্লাস্টিকের কণা ছড়িয়ে আছে তার বেশিরভাগ ধ্বংসাবশেষই এসেছে প্লাস্টিকের টুকরা জমা হওয়া ভূমি থেকে।’
এই গবেষণার মূল লেখক ও কেপটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিটজপ্যাট্রিক ইন্সটিটিউট অফ আফ্রিকান অরনিথোলজির পরিচালক পিটার রায়ান ব্যাখ্যা করেছেন- তারা ১৯৮৪, ২০০৯ এবং ২০১৮ সালে তিনবার ছোট এই দ্বীপটিতে গিয়েছিলেন। ‘ইনঅ্যাসিসসিবল আইল্যান্ড’ নামে পরিচিত এই দ্বীপে সমীক্ষা চালিয়ে পরিত্যক্ত পানীয় বোতলের প্রভাব বিস্তার দেখে তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন।
তারা লিখেছেন, এই দ্বীপে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ৩ হাজার ৫১৫টি প্লাস্টিক টুকরা পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে, ৮ হাজার ৮৪টি প্লাস্টিকের টুকরায়। এগুলোর মধ্যে পলিথিলিন টেরেফথ্যালেট বা পানির বোতল সবচেয়ে বেশি ছিল। তাদের হিসাব মতে ১৯৮০ সাল থেকে এই প্লাস্টিকের আবর্জনা প্রতি বছরে ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এখানে ২০১৮ সালে পাওয়া প্রাচীনতম বোতলটি ১৯৭১ সালে উচ্চ ঘনত্বের পলিথিন দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল বলে জানান অধ্যাপক রায়ান।