ফেনীর প্রতিটি পূজামণ্ডপে এখন সাজসাজ রব। কোনো কোনো মণ্ডপে চোখ ধাঁধানো লাইটিং, আবার কোথায়ও বিলাসবহুল গেট সবার নজর কাড়ছে। ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে গতকাল শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দুর্গা পূজা। বৃহস্পতিবার ফেনীর সব মণ্ডপে দেবী দুর্গার বোধন হয়েছে। ষষ্ঠীর আনুষ্ঠানিকতা শেষে আজ হবে মহাসপ্তমী পূজা। এরপর আগামীকাল রোববার মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা। সোমবার মহানবমী ও মঙ্গলবার বিজয়া দশমীর দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এ ধর্মীয় উৎসব।
ফেনী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শুসেন চন্দ্র শীল জানান, ফেনীতে এবার ১৪০টি মণ্ডপে পূজা উদযাপন হচ্ছে। এর মধ্যে ফেনী সদর উপজেলায় ৪৫টি, ফেনী পৌর এলাকায় ১১টি, দাগনভূঞায় ১৮টি, সোনাগাজীতে ২২টি, ছাগলনাইয়ায় ৫টি, পরশুরামে ৬টি ও ফুলগাজীতে ৩৩টি মণ্ডপ রয়েছে। প্রতিবারের মতো এবারো শহরতলির বীনা পানি ক্লাবে ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এটি জেলার সবচেয়ে ব্যয়বহুল মণ্ডপ। এছাড়া বাঁশপাড়া মন্দিরে ১৫ লাখ, তুলাবাড়িয়া মন্দিরে ১২ লাখ, দক্ষিণ সহদেবপুর কালী মন্দির, ফেনী জয়কালী মন্দির, সুলতানপুর ও মধুপুর সাহপাড়া মন্দিরে বড় বাজেটে পূজা উদযাপন করা হয়। আর্থিক সংগতি বেধে দুর্গোৎসবে ফেনীর অপরাপর মন্দিরগুলোয় দেড় থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। সব মিলিয়ে এবারের পূজায় ফেনীর মণ্ডপগুলোয় অন্তত সাড়ে ৩ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি রাজিব খগেশ দত্ত জানান, এরই মধ্যে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদসহ সব মণ্ডপের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের নিয়ে সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারী, জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে মতবিনিময় হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণের জন্য পৃথক দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মণ্ডপে পূজার শুরু থেকে প্রতিমা বিসর্জন পর্যন্ত পুলিশ-আনসারদের সমন্বয়ে গঠিত একটি দল দায়িত্ব পালন করবে।
তিনি বলেন, বড় মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। পুরুষ ও নারী দর্শনার্থীদের প্রবেশের জন্য পৃথক লেন করা হচ্ছে। এছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিয়মিত টহল, চেকপোস্ট স্থাপন করা হবে। আমরা সব মণ্ডপে রাত ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই উৎসব শেষ করতে নির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া মসজিদে আজান ও নামাজের সময় মাইকসহ অন্য 
