বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম অনুযায়ী, নিকটাত্মীয় পরীক্ষার্থী হলে কোনো শিক্ষক বা পরীক্ষক সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কিংবা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করতে পারেন না। নিকটাত্মীয় থাকলে এ বিষয়ে ঘোষণা দিয়ে তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিতে হয়। কিন্তু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের সদ্য সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়ার বিরুদ্ধে এ নিয়ম না মানার অভিযোগ উঠেছে।
জানা গেছে, নিজের নিকটাত্মীয় অংশ নেয়ার বিষয় গোপন রেখেই তিনি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়া ইনস্টিটিউটের একটি সেমিস্টারে ওই নিকটাত্মীয় অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি কোর্স পরিচালনা ও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ আগস্ট বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের দুই শিক্ষার্থীকে বিশেষ পরীক্ষার অনুমতি প্রদানের পাশাপাশি ছয় দফা দাবিতে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। ওই দুই শিক্ষার্থী হলেন ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের রাফিউল্লাহ রাজু সরকার ও ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের সিদ্দিকুর রহমান সম্রাট। এর মধ্যে পরপর দুবার পরীক্ষা দিয়ে একটি কোর্সে উত্তীর্ণ না হওয়ায় অধ্যাদেশ অনুযায়ী তাদের পরীক্ষার অনুমতি দেয়নি একাডেমিক কমিটি। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মধ্যস্থতায় দুই শিক্ষার্থীকে বিশেষ পরীক্ষার অনুমতি দিলে আন্দোলন থেকে সরে আসেন শিক্ষার্থীরা।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওই দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে রাফিউল্লাহ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. দানেশ মিয়ার বোনের ছেলে। রাফিউল্লাহ ‘জে’ ইউনিটের বন ও পরিবেশবিদ্যা ইনস্টিটিউটের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে মেধাতালিকায় ৫১তম হন। ওই ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন মডারেটরের দায়িত্বে ছিলেন ইনস্টিটিউটের তত্কালীন পরিচালক ও ইউনিটপ্রধান অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া ও অধ্যাপক ড. জরিন আখতার। কিন্তু অধ্যাপক দানেশ মিয়ার বোনের ছেলের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়টি অন্য দুই মডারেটরকে জানাননি। এছাড়া ওই ব্যাচের দ্বিতীয় সেমিস্টারের ইএনভি-১২৪ সমাজতত্ত্ব কোর্সও পরিচালনা করেন অধ্যাপক দানেশ।
এ বিষয়ে অধ্যাপক খালেদ মিসবাহুজ্জামান ও অধ্যাপক জরিন আখতার বণিক বার্তাকে বলেন, পরীক্ষায় আত্মীয় অংশ নিলে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের জানার কথা। কিন্তু অধ্যাপক মো. দানেশ মিয়ার বোনের ছেলের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার বিষয়টি আমাদের জানানো হয়নি।
বিষয়টি নিয়ে কথা হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (একাডেমিক শাখা) ও ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সচিব এসএম আকবর হোছাইন এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) চৌধুরী আমীর মোহাম্মদ মুছার সঙ্গে। তারা বলেন, শুধু ভর্তি