বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ২৩ ভারতীয় জেলেকে আটক করেছে নৌবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে এমভি স্বর্ণা দীপ ও আমরিছা নামের দুটি ফিশিং ট্রলারও জব্দ করা হয়। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বঙ্গোপসাগর থেকে তাদের আটক করে নৌবাহিনীর একটি টহল দল। গতকাল বেলা ৪টার দিকে আটককৃত জেলেদের বিরুদ্ধে নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে মোংলা থানায় ১৮৯৩ সালের সামুদ্রিক মত্স্য অধ্যাদেশের ২২ ধারায় মামলা করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন হরিরঞ্জন, শুকুমার দাস, শ্রীমন্ত দাস, নিরোদ দাস, বিশ্বজিৎ সাহা, অনীল পুরকাইত, গুরুপদ জানা, তপন পুরকায়স্ত, বিজয় দাস, নিরঞ্জন দাস, প্রণব মণ্ডল, আপান্না, কালিপদ সমন্ত, কার্তিক জেনা, দুদ কুমার ভুইয়া, আভি, পাওলিয়া, নারী সাম্মা, দানিয়া, রামু, রাম ও আপ্পানা। তাদের বাড়ি ভারতের কলকাতার চব্বিশ পরগনা ও বিজয়নগর এলাকায়।
মোংলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল বাহার চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের জলসীমায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে মাছ ধরার সময় নৌবাহিনী দুটি ট্রলারসহ ২৩ জেলেকে আটক করে। আটক জেলেদের বিরুদ্ধে গতকাল বিকালে মামলা করে মোংলা থানায় হস্তান্তর করা হয়। আমরা আইনি প্রক্রিয়া শেষে বাগেরহাট আদালতে পাঠিয়েছি তাদের।
উল্লেখ্য, গত সোমবার মোংলা বন্দরের ৯০ নটিক্যাল মাইল দূরে বঙ্গোপসাগরের ফেয়ারওয়ে বয়া এলাকা বাংলাদেশের জলসীমায় অনুপ্রবেশ করে মাছ শিকারের অভিযোগে ১৫ ভারতীয় জেলেকে আটক করে নৌবাহিনী। এ সময় এফবি মা লক্ষ্মী নামে একটি ফিশিং ট্রলারও জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে মোংলা থানায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন নৌবাহিনীর পেটি অফিসার মো. আবুল মঞ্জুর।