ইউরোপা লিগে আর্সেনালকে বড় জয় এনে দিলেন টিনএজ গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি। তার জোড়া গোলে ভর দিয়ে বৃহস্পতিবার বেলজিয়ান দল স্ট্যান্ডার্ড লিগেকে ৪-০ ব্যবধানে হারায় গানাররা। অবশ্য এ রাতে ডাচ ক্লাব এজেড আলকমারের মাঠে গোলশূন্য ড্র করে আরেক ইংলিশ জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড।
ম্যাচের ১৪ মিনিটেই গতবারের রানার্সআপ আর্সেনালকে এগিয়ে দেন ১৮ বছর বয়সী মার্টিনেল্লি। এর ৩ মিনিট পর বুলেট শটে আরেক গোল করেন তিনি। তারুণ্যনির্ভর আর্সেনালকে তৃতীয় গোলটি উপহার দেন জো উইলকক। ৫৭ মিনিটে গানারদের চতুর্থ গোলের উৎস মার্টিনেল্লি। তার পাস থেকে গোল করে লন্ডন জায়ান্টদের বড় জয় নিশ্চিত করেন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে ধারে খেলা দানি সেবায়োস। এ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপে শীর্ষস্থান ধরে রাখল আর্সেনাল। স্ট্যান্ডার্ড ও এনট্র্যাখট ফ্রাংকফুর্ট উভয় দলের চেয়েই ৩ পয়েন্ট করে এগিয়ে আর্সেনাল।
গত জুলাইয়ে আর্সেনালে যোগ দেয়া মার্টিনেল্লি সম্প্রতি কারাবাও কাপে প্রথমবারের মতো শুরুর একাদশে নেমে জোড়া গোল করেন। দ্বিতীয়বার শুরুতে নেমেও কোচের আস্থার প্রতিদান দিলেন দুই গোল করে। আর্সেনাল ডিফেন্ডার হেক্টর বেয়েরিন বলেন, ‘দলের অসাধারণ পারফরম্যান্স। এ জয়টি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ মার্টিনেল্লির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘সে কঠোর পরিশ্রম করছে এবং কোচ যা চাইছে মাঠে সেটাই করছে। দলের প্রত্যেকেই তাকে নিয়ে খুশি।’
উনাই এমারি জয়ের হাসি নিয়ে লন্ডনে ফিরলেও ওলে গুনার সোলশার আরো বিপর্যস্ত। গত মার্চের পর জয়হীন দলটি এবার আলকমারের সঙ্গেও জিততে পারল না। অ্যাওয়েতে সর্বশেষ ১০ ম্যাচে জিততে ব্যর্থ ম্যানইউ, এসব ম্যাচে তারা গোল করতে পেরেছে মাত্র পাঁচটি। ড্র শেষে সোলশারকে অবশ্য খুব অখুশি মনে হয়নি। তিনি বলেন, ‘ছেলেদের প্রচেষ্টায় আমি খুশি, আমাদের তিন পয়েন্টই পাওয়া উচিত ছিল। কন্ডিশন ছিল বেশ কঠিন, তবু আমরা খারাপ করিনি। এ ড্র আমাদের ভালো অবস্থানেই রেখেছে। আপনি যদি অ্যাওয়েতে ড্র করার পর হোম ম্যাচগুলো জিততে পারেন, তবে মন্দ হয় না।’
পরশু ড্র করার পর দুই ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এল’ গ্রুপের দ্বিতীয় স্থানে ম্যানইউ, সমান পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে পার্টিজান বেলগ্রেড।
ইউরোপা লিগে পরশু উলভারহ্যাম্পটন ১-০ গোলে বেসিকতাসকে, ইয়াং বয়েজ ২-১ গোলে রেঞ্জার্সকে, এস্পানিওল ২-০