সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় জ্বালানি তেল উত্তোলন প্রতিষ্ঠান আরামকোর দুটি স্থাপনায় ড্রোন হামলার ধাক্কা সামলে পূর্ণ উত্তোলন সক্ষমতায় ফিরে আসার দাবি করছে দেশটি। এমনকি হামলার পূর্ববর্তী সময়ের তুলনায় এখন জ্বালানি তেলের উত্তোলন ও সক্ষমতা দুটোই বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী আব্দুল আজিজ বিন সালমান। খবর সৌদি গেজেট।
রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত জ্বালানি সপ্তাহে তৃতীয় দিনে বৃহস্পতিবার সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী জানান, বর্তমানে সৌদি আরবের দৈনিক উত্তোলন দাঁড়িয়েছে ৯৯ লাখ ব্যারেল। যদিও এখন তাদের উত্তোলন সক্ষমতা রয়েছে ১ কোটি ১৩ লাখ ব্যারেল। নভেম্বর শেষে উত্তোলন সক্ষমতা আরো বাড়বে।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর সৌদি আরামকোর আবকাইক ও খুরাইস নামের দুটি স্থাপনায় ড্রোন হামলা হয়। এ হামলার ফলে সাময়িকভাবে দেশটির জ্বালানি তেল উত্তোলন সক্ষমতা দৈনিক ৫৭ লাখ ব্যারেল কমে আসে, যা দেশটির দৈনিক উত্তোলনের অর্ধেক, আর বৈশ্বিক উত্তোলনের ৫ শতাংশ। অন্যদিকে গ্যাসের উত্তোলন কমে দাঁড়ায় দৈনিক ২০০ কোটি ঘনফুট। এ ঘটনায় হঠাৎ করে দীর্ঘদিন মন্দা ভাব থাকা জ্বালানি তেলের বাজার সাময়িক সময়ের জন্য চাঙ্গা হয়ে ওঠে।
আরামকোয় হামলার পর সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী সে সময় জানিয়েছিলেন, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে তার দেশ জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন ১ কোটি ১০ লাখ ব্যারেলে নিয়ে যাবে। নভেম্বরের শেষের দিকে উত্তোলন আরো বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেলে।
তবে সক্ষমতা বাড়লেও দেশটি ওপেক প্লাস জোটের সঙ্গে করা চুক্তি অনুযায়ী উত্তোলন কমিয়ে দিয়েছে। সৌদি জ্বালানিমন্ত্রী জানান, চুক্তি মোতাবেক দৈনিক ১ কোটি ৩ লাখ ব্যারেল উত্তোলন করতে সক্ষম হলেও দেশটি নিজ উদ্যোগে উত্তোলন কমিয়ে দিয়েছে।
জ্বালানি তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ডিসেম্বর থেকে ওপেক ও রাশিয়ার নেতৃত্বে ওপেক বহির্ভূত দেশগুলো মিলে জোট গঠন করে। যেটি ওপেক প্লাস জোট নামে পরিচিত। চুক্তি অনুযায়ী, জোটটি সম্মিলিতভাবে দৈনিক জ্বালানি তেলের উত্তোলন ১ কোটি ২০ লাখ ব্যারেল কমিয়ে আনতে সম্মত হয়।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার বাড়ার ফলে জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে, সেটি নিয়ে আলোচনা করতে মস্কোয় এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠকের দ্বিতীয় দিনের আলোচনায় রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক জ্বালানি তেলের ভবিষ্যৎ চাহিদার বিষয়ে আলোচনা করেন।
বৈশ্বিক অর্থনীতির বর্তমান অবস্থা উল্লেখ করে রাশিয়ার জ্বালানিমন্ত্রী বলেন, চলতি বছর জ্বালানি তেলের চাহিদা গত বছরের তুলনায় কম হবে। এছ