আকাশপথে চলাচল বেড়েছে

যাত্রীবান্ধব হয়নি বিমানবন্দর

নিজস্ব প্রতিবেদক

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিন গড়ে ১৩০টির মতো ফ্লাইট ওঠানামা করে। এর বিপরীতে বোর্ডিং ব্রিজ আছে মাত্র আটটি। ফলে বেশির ভাগ ফ্লাইটকেই বোর্ডিং ব্রিজ দিতে পারে না বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। উপায় না থাকায় বে-এরিয়ায় যাত্রী ওঠানামা করাতে বাধ্য হয় এয়ারলাইনসগুলো। এতে সময় বেশি লাগার পাশাপাশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় শারীরিকভাবে অক্ষম বয়স্ক যাত্রীদের। এমনকি হুইল চেয়ার ব্যবহার করা যাত্রীদেরও সিঁড়ি ভাঙার বিকল্প থাকে না।

বোর্ডিং ব্রিজ সংকটই শুধু নয়, যাত্রীবান্ধব নয় বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ইমিগ্রেশনের কম্পিউটার এর সার্ভার আধুনিক নয়। যাত্রীসেবার জন্য থাকা ট্রলিগুলোও টার্মিনাল ভবনের বাইরে নেয়া যায় না। ফলে বিদেশগামী বিদেশফেরত প্রবাসী শ্রমিকদের লাগেজ মাথায় করে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়।

দেশের প্রধান বিমানবন্দরের চেয়েও নাজুক অবস্থা অন্য বিমানবন্দরগুলোর। সেখানে বসার জায়গা অপ্রতুল। টয়লেটের মানও ভালো নয়। শারীরিক প্রতিবন্ধী বা বয়স্কদের জন্য হুইল চেয়ার থাকলেও তা অপর্যাপ্ত।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) সূত্রে জানা গেছে, দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজ রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটটি, সিলেটে ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক চট্টগ্রামে দুটি বোর্ডিং ব্রিজ রয়েছে। এসব বোর্ডিং ব্রিজ পরিচালনায় বেবিচকের অনুমোদিত পদ রয়েছে ৩৬টি। এর বিপরীতে কর্মরত আছেন ১৭ জন। এর মধ্যে দুজন চট্টগ্রামে, একজন সিলেটে, বাকি ১৪ জন ঢাকায়। জনবল দিয়ে দিনে তিন শিফটে বোর্ডিং ব্রিজ পরিচালনা করে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

কার্যক্রম পরিচলনাকারী এয়ারলাইনসগুলোর অভিযোগ, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজ বরাদ্দের ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করছে কর্তৃপক্ষ। দেশীয় এয়ারলাইনসগুলোকে বোর্ডিং ব্রিজ না দিয়ে প্রাধান্য দেয়া হয় বিদেশী এয়ারলাইনসগুলোকে। আর বোর্ডিং ব্রিজ পাওয়া না গেলে যাত্রীদের বে-এরিয়ায় নামিয়ে বাসে করে টার্মিনালে আসতে হয়। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় ব্যাগেজ সরবরাহ করতে। এতে অনেক বেশি সময় ব্যয় হয়। এছাড়া বোর্ডিং ব্রিজ ছাড়া বে-এরিয়ায় যাত্রী ওঠানামা করাতে গেলে মশার উপদ্রবেও পড়তে হয়। বিদেশগামী যাত্রীদের ক্ষেত্রেও একই সমস্যা হয়। বিশেষ করে চেন্নাই সিঙ্গাপুরগামী ফ্লাইটগুলোতে চিকিৎসা নিতে যাওয়া যাত্রীদের নিয়ে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়। হুইল চেয়ার ব্যবহার করা যাত্রীদেরও সিঁড়ি দিয়ে বে-এরিয়ায় নিতে হয়।

১৯৮০ সালে যাত্রা করা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বর্তমানে বছরে প্রায় ৯০ হাজার ফ্লাইট ওঠানামা করে। গত বছর সক্ষমতার চেয়ে ৯০ লাখ বেশি যাত্রীকে সেবা দেয় শাহজালাল বিমানবন্দর। সে অনুপাতে বাড়েনি লাগেজ বেল্ট, ইমিগ্রেশন চেকিং পয়েন্ট, পার্কিং-বেসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো সুবিধা। ফলে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না যাত্রীরা।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে শাহজালাল বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় মূল টার্মিনালের দক্ষিণ পাশে ২৪ লাখ বর্গফুট জমির ওপর তৃতীয় টার্মিনাল করতে যাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে দরপত্রের কারিগরি মূল্যায়ন শেষ হয়েছে। ঠিকাদারের সঙ্গে আর্থিক চুক্তি সইয়ের <

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন