গেমিং কোম্পানির লাইসেন্সে অনলাইন ক্যাসিনো চালাতেন সেলিম

জুয়ার টাকা পাচার করতেন জাপান-থাইল্যান্ডে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অনলাইন গেমিং ব্যবসার জন্য পি-২৪ গেমিং কোম্পানির নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছিলেন সেলিম প্রধান। যৌথ মূলধন কোম্পানি ফার্মগুলোর পরিদপ্তর (আরজেএসসি) থেকে কোম্পানিটির নিবন্ধনও নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু নিবন্ধনের শর্ত ভঙ্গ করে তিনি পরিচালনা করেছেন অনলাইন ক্যাসিনো। শুধু তা- নয়, ক্যাসিনো থেকে অবৈধ উপায়ে আয় করা বিপুল অর্থ পাচার করেছেন জাপান থাইল্যান্ডসহ বেশ কয়েকটি দেশে। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে র‌্যাবকে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রধান গ্রুপের কর্ণধার সেলিম প্রধান।

রাজধানীতে চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যেই গত সোমবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে দেশত্যাগের চেষ্টাকালে থাই এয়ারওয়েজের একটি উড়োজাহাজ থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করে র‌্যাব। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে গুলশানে প্রধান গ্রুপের কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ দেশী-বিদেশী মুদ্রা, মদ হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মাদক আইনে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্ত সেলিম প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র‌্যা জানায়, সেলিম প্রধান একজন মাদক ব্যবসায়ী। আন্তর্জাতিক পর্যায়ের অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসায়ী হিসেবেও পরিচিত তিনি। ২০১৬ সালে থাইল্যান্ডে কোরিয়ার নাগরিক ডো বোং জো লিম ডু-নোনের সঙ্গে পরিচয় হয় সেলিমের। পরিচয় সূত্রে একটা সময় বন্ধুত্ব হয় তাদের মধ্যে। পরে সেলিম প্রধানকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশে অনলাইন ক্যাসিনো চালুর পরিকল্পনা করেন ডো বোং জো লিম ডু-নোন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে পি-২৪ গেমিং কোম্পানি লিমিটেড নামে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) থেকে একটি ট্রেড লাইসেন্স নেন সেলিম প্রধান। পাশাপাশি আরজেএসসির থেকেও কোম্পানিটির নিবন্ধন নেয়া হয়। এরপর কোরীয় ওই দুই নাগরিক বাংলাদেশে আসেন এবং ক্যাসিনো ব্যবসা শুরু করেন। অনলাইন জুয়া থেকে তাদের উপার্জিত অর্থ বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে জমা হতে থাকে, যা পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন দেশে পাচার করা হয়।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, একটি গেটওয়ে দিয়ে মাসে কোটি টাকা পাচার করতেন সেলিম প্রধান। গেটওয়ে-সংক্রান্ত কাগজপত্রও র‌্যাবের হাতে এসেছে।

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন