পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত প্লাবিত হচ্ছে নিম্নাঞ্চল

বণিক বার্তা ডেস্ক

পদ্মা অববাহিকার প্লাবিত জেলাগুলোয় এখনো বন্যা পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। কোনো কোনো স্থানে নদীর পানি না বাড়লেও তা এখনো বিপদসীমার উপরেই অবস্থান করছে। অন্যদিকে নাটোরে নদীর পানির উচ্চতা বেড়েছে। প্লাবিত জেলাগুলোয় ত্রাণ কার্যক্রম শুরু হলেও তা চলছে ঢিমেতালে। উপদ্রুত অঞ্চলগুলো থেকে বণিক বার্তা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর

পাবনা: জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, গতকাল সকাল পর্যন্ত পাবনায় পদ্মার পানির উচ্চতায় কোনো হেরফের হয়নি। তবে ওই সময়েও বিপত্সীমার আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। নতুন করে কোনো এলাকা প্লাবিত না হওয়ায় জেলায় নতুন করে আর কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। দু-একদিনের মধ্যে পানি কমতে শুরু করবে বলে প্রত্যাশা পাউবোর।

পাউবোর পানি পরিমাপ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী কেএম জহুরুল হক জানান, গতকাল বিকালেও পদ্মার পানিপ্রবাহের উচ্চতা অপরিবর্তিত ছিল। দু-একদিনের মধ্যে পানি কমা শুরু হতে পারে। গতকাল বিকালে নদীর পানি বিপত্সীমার আট সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।

পাবনা জেলা প্রশাসক মো. কবির মাহমুদ জানান, ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে বুধবার থেকে হাজার ৪৭০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ত্রাণ হিসেবে ২০ টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করতে সরকারি কয়েকটি দপ্তরের প্রতিনিধিরা কাজ করছেন। ত্রাণ বিতরণ করবেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। ত্রাণ বিতরণে যেকোনো অনিয়ম প্রতিহত করতে জেলা প্রশাসনের তদারকি বাড়ানো হয়েছে।

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতেও ২৪ ঘণ্টায় পদ্মার পানিপ্রবাহে কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। জেলায় পদ্মার পানি এখনো বিপত্সীমার ১২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বর্তমানে রাজবাড়ী সদর উপজেলার বরাট, মিজানপুর, গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া, দেবোগ্রাম, কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের সাড়ে তিন হাজার পরিবার পানিবন্দি অবস্থায় দিনযাপন করছে।

প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, এখনো প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিদের পক্ষে কেউ তাদের খোঁজখবর নেয়নি। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন বলছে, ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে শুকনো খাবার ত্রাণসহায়তা দিতে সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউপি

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন