৩৬ মিনিটেই ৩-০ গোলে এগিয়ে লিভারপুল। এ ম্যাচ ঠিক কত গোলে গিয়ে শেষ করবে, সেই হিসাব-নিকাশই হয়তো করছিলেন লিভারপুল সমর্থকরা। একে তো অ্যানফিল্ডে খেলা, তার ওপর ‘অল রেড’ স্ট্রাইকারদেরও দেখা যাচ্ছিল দুর্দান্ত ফর্মে। কিন্তু ‘ই’ গ্রুপের ম্যাচটিতে তখনো অ্যানফিল্ড তার জাদু দেখানো বাকি রেখেছে অনেকটাই। এ মাঠেই আগের মৌসুমে প্রত্যাবর্তনের অসাধারণ এক রূপকথা লিখেছিল লিভারপুল। অবশ্য তেমন কিছু হয়তো লিভারপুল সমর্থকদের দুঃস্বপ্নেও ছিল না। কিন্তু লিভারপুল ৩৬ মিনিটে যেখানে শেষ করে, সেখান থেকেই শুরু করে সলজবুর্গ। ৩৯ মিনিটে প্রথম গোল এবং পরে আরো দুটি গোল শোধ করে অ্যানফিল্ড কাঁপিয়ে দেয় অস্ট্রিয়ান ক্লাবটি। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সালাহর কারণে ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি ‘অপরিচিত’ ক্লাবটি। তবে হারলেও তারা মাঠ ছেড়েছে মাথা উঁচু করে।
ঘরের মাঠে লিভারপুল শুরুটা করে ফেভারিটদের মতোই। যদিও শুরু থেকেই কিছুটা নড়বড়ে ছিল লিভারপুল ডিফেন্স। অবশ্য চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত দেখা মেলেনি সেরা ছন্দের লিভারপুলকে। যেখানে তার ডিফেন্সের দুর্বলতায় সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছে। এদিন অবশ্য ৯ মিনিটের মাথায় রবার্তো ফিরমিনোর সঙ্গে বল দেয়া-নেয়া করে লক্ষ্যভেদ করেন সাদিও মানে, যা দ্বিগুণ হয় ট্রেন্ট আলেকসান্দার আরনল্ডের পাসে অ্যান্ডু রবার্টসন বল জালে জড়ালে। তখন চলছিল ২৫ মিনিটের মাথায়। সেই লিড ৩-০ করতে মোহাম্মদ সালাহ সময় নেন ১১ মিনিট। তবে লিভারপুলের উল্লাসে প্রথম আঘাতটা হানেন হোয়াং হি-চান। উল্লাসে বাধা পড়লেও তখনো শঙ্কা দানা বাঁধেনি অ্যানফিল্ডে।
প্রথমার্ধে সলজবুর্গের হয়ে গোল করেছিলেন এক দক্ষিণ কোরিয়ান। তাকে দেখেই হয়তো অনুপ্রাণিত হন পূর্ব এশিয়ান অঞ্চলের আরেক সতীর্থ তাকুমি মিনামিনো। ৫৬ মিনিটে ব্যবধানটা ৩-২ করেন এ জাপানি ফুটবলার। এ গোলের পর গোটা অ্যানফিল্ড নড়েচড়ে বসে। ম্যাচে তখন চলছে সলজবুর্গের দাপট। যারা আগের ম্যাচে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল গেঙ্ককে। ৪ মিনিট পর এরলিং হালান্ডও লক্ষ্যভেদ করলে গোটা স্টেডিয়াম যেন স্তব্ধ হয়ে পড়ে। ব্যাকফুটে থাকা লিভারপুলের মনে তখন হারের আতঙ্কও ভর করেছে। ৬৯ মিনিটে অবশ্য সালাহর গোলে কিছুটা স্বস্তি ফিরে আসে লিভারপুলের মনে। পিছিয়ে পড়লেও লিভারপুলকে শেষ পর্যন্ত বেশ চাপে রেখেছিল সলজবুর্গ। তবে আর কোনো বিপদ ছাড়াই ম্যাচ শেষ করে ইয়ুর্গেন ক্লোপের দল। ম্যাচ শেষে এ ম্যাচ থেকে শিক্ষা নেয়ার কথা বলেন ক্লোপ।
একই গ্রুপের অন্য ম্যাচে ন্যাপোলিকে নিজেদের মাঠে গোলশূন্য ড্রয়ে রুখে দিয়েছে গেঙ্ক। তবে লিলের মাঠে গ্রুপ ‘