বিরতির পর তখন খেলোয়াড়রা মাঠে নামছিলেন, কমেন্ট্রি বক্সে তখন বলাবলি হচ্ছিল দ্বিতীয়ার্ধ বার্সেলোনার জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। তখন ইন্টার মিলানের বিপক্ষে নিজেদের মাঠে ০-১ গোলে পিছিয়ে বার্সা। তবে পরের ৪৫ মিনিট যে বার্সার চেয়ে তাদের কোচ আর্নেস্তো ভালভার্দের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ, সেটি জানাতেও ভুললেন না ধারাভাষ্যকাররা। চলতি মৌসুমের শুরুটা বাজে হওয়ায় সমালোচনার মুখে ভালভার্দে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচেও বার্সাকে রুখে দেয় বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। ইন্টারের বিপক্ষে হেরে গেলে বিদায়ের শঙ্কাও চোখ রাঙাতো বার্সা কোচকে। তবে ম্যাচের পাশাপাশি নিজের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার এই ৪৫ মিনিটে দারুণভাবে উতরে গেলেন ভালভার্দে। দ্বিতীয়ার্ধে লুইস সুয়ারেজ-লিওনেল মেসির দুরন্ত পারফরম্যান্সে ইন্টারের বিপক্ষে গ্রুপ ‘এফ’-এর ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতে নিয়েছে কাতালান জায়ান্টরা। বার্সার দুটি গোলই করেন সুয়ারেজ।
ন্যু ক্যাম্পে শুরুতেই অবশ্য হতভম্ব বার্সা সমর্থকরা। তখন মাত্র ২ মিনিটের খেলা চলছিল, শুরু থেকেই আক্রমণের পণ করা বার্সা ডিফেন্ডাররা তখন উপরের দিকে। বল পেয়ে বার্সার সাবেক তারকা ও সদ্য ইন্টারে যোগ দেয়া অ্যালেক্সিস সানচেজ ঠেলে দেন লাউতারো মার্টিনেজের দিকে। একটানে বল নিয়ে মার্টিনেজ ঢুকে পড়েন বার্সা ডি বক্সে। লেংলেট অবশ্য সঙ্গে লেগেই ছিলেন। কিন্তু মার্টিনেজকে ঠেকিয়ে রাখতে পারেননি। দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন এ আর্জেন্টাইন তারকা। এরপর যথারীতি মাঝমাঠ দখলে রেখে প্রতিপক্ষ ডিফেন্সে চাপ তৈরি করতে থাকে বার্সা। কিন্তু গডিন-ডি ভ্রাইদের নিয়ে গড়া ইন্টার রক্ষণকে বিপদে ফেলতে পারছিল সামান্যই। মেসিকে ঠেকিয়ে রাখতেও প্রথমার্ধে দারুণভাবে সফল হয় ইতালিয়ান টপাররা। আর যেটুকু সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেগুলোকেও সঠিক পরিণতি দিতে ব্যর্থ হচ্ছিল বার্সা ফরোয়ার্ডরা। হতাশায় এ সময় অস্থিরতাও শুরু হয় বার্সা খেলোয়াড়দের মাঝে।