কুষ্টিয়ায় যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার দায়ে স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডও করা হয়। গতকাল বেলা ১১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক মুন্সি মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্তের নাম জনি (৩০)। তিনি সদর উপজেলার পশ্চিম আব্দালপুর গ্রামের বকুলের ছেলে। রায় ঘোষণাকালে জনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৬ মে কুমারখালী উপজেলার গট্টিয়া গ্রামে মামা আনিচের বাড়িতে অবস্থান করছেন জনি ও তার স্ত্রী জোনাকী খাতুন (১৯)। ওইদিন সন্ধ্যায় জনি স্ত্রী জোনাকী খাতুনকে বাবার বাড়ি থেকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। এতে স্ত্রী রাজি না হওয়ায় জনি জোনাকীকে নির্যাতন করে। একপর্যায়ে আসামি জোনাকীর গলায় ফাঁস দিয়ে ঘরের আড়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে। এ ঘটনায় জোনাকীর মা আসমা খাতুন বাদী হয়ে কুমারখালী থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত শেষে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের দ.বি. ১১৯(ক) ধারায় অভিযোগ এনে গত ৩১ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। রায় ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান জানান, দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় গতকাল আসামি জনিকে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়ে রায় ঘোষণা করেন আদালত। জরিমানার অর্থ আসামির স্থাবর সম্পত্তি নিলামের মাধ্যমে সংগ্রহ করে নিহতের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেয়ার জন্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন আদালত।