বিদেশী বিনিয়োগের দ্বার আরো উন্মুক্ত করতে চায় ইন্দোনেশিয়া

বণিক বার্তা ডেস্ক

ইন্দোনেশিয়ার শ্রম আইন চলতি বছরের শেষ নাগাদ আমূল পরিবর্তন করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। এছাড়া অধিকতর বিদেশী বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য নতুন নতুন খাত উন্মুক্ত করা বিনিয়োগকারীদের চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সংস্কারের কথাও জানিয়েছেন তিনি। খবর ব্লুমবার্গ।

শ্রম আইন নিয়ে পরিকল্পিত পরিবর্তন দেশটির নতুন কর্মীদের ওপর প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন জোকোউই। শ্রম আইন নিয়ে পরিকল্পিত প্রস্তাবটি সংসদে উপস্থাপনের আগে শ্রমিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে তা নিয়ে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।

সংশোধিত শ্রম আইন নতুন কর্মীদের ওপর যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হলেই বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেশটিতে বিনিয়োগে বা ব্যবসা সম্প্রসারণ করতে আগ্রহী হবে। তবে বিরোধী পক্ষের শ্রমিক সংগঠনগুলো এরই মধ্যে প্রেসিডেন্টের শ্রম আইন সংস্কার প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে। এদিকে ব্লুমবার্গের সঙ্গে সাক্ষাত্কারে শ্রম আইন সংশোধন করাই নিজের প্রথম অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন জোকোউই।

দীর্ঘদিন ধরে দেশটির ব্যবসায়িক প্যাকেজ, সর্বনিম্ন মজুরি ব্যবস্থার জটিলতা, কর্মী নিয়োগ-ছাঁটাইয়ের কড়াকড়ি নিয়ে সেখানকার ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে আসছেন। এসব আইন ব্যবসা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলেও অভিযোগ করে আসছেন তারা।

এদিকে জোকোউই বলেন, আমাদের দেশে প্রতি বছর ৩০ লাখ নতুন কর্মী শ্রমবাজারে প্রবেশ করছেন। শ্রমবাজারের এসব কর্মীর কর্মসংস্থানের একটা ব্যবস্থা করা আবশ্যক বলেও জানান তিনি। দেশটির প্রেসিডেন্ট বলেন, তো গেল একটা দিক। দ্বিতীয়ত, আমরা বিনিয়োগকারীদের অভিযোগগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে চাই। অভিযোগগুলো মাথায় নিয়েই আমাদের শ্রম আইন সংশোধন করতে হবে। বিনিয়োগ বাড়লে কোম্পানিগুলোর মধ্যে ভালো কর্মী পেতে প্রতিযোগিতা বাড়বে বলেও মন্তব্য করেন জোকোউই।

দেশটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নিজের হূতগৌরব পুনরুদ্ধারে বদ্ধপরিকর। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান বাণিজ্যযুদ্ধের গতি ত্বরান্বিত হওয়ায় অনেক ম্যানুফ্যাকচারার নিজেদের কার্যক্রম চীন থেকে এশিয়ার অন্যান্য দেশে সরিয়ে নিচ্ছে। উদ্ভূত পরিস্থিতির সুবিধা নিজের পকেটস্থ করতে চায় ইন্দোনেশিয়া। এক্ষেত্রে অঞ্চলের অন্য দেশগুলোর সঙ্গে রীতিমতো টেক্কা দিতে হচ্ছে দেশটিকে।

এদিকে ভিয়েতনামের মতো অপেক্ষাকৃত ছোট প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ উদ্ভূত পরিস্থিতির ফায়দা তোলার ক্ষেত্রে ইন্দোনেশিয়াকে ছাড়িয়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণে যত দ্রুত সম্ভব দেশটির শ্রম আইন সংশোধন করতে চান জোকোউই।

পরিকল্পিত শ্রম আইন সংশোধন করতে হলে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে প্রথমত শ্রমিক সংগঠনগুলোর সম্মতি আদায় করতে হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন