চার লেনের মহাসড়কেও অবৈধ পার্কিং

পরিবহন সেবা নির্বিঘ্নে মহাসড়কের দখল বন্ধ করতে হবে

মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ার খবর নতুন নয়। কারণে সরকার দুই লেনের সড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের উদ্যোগ নেয়। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি বলেই খবর মিলছে। এর পেছনে কাজ করছে মহাসড়কে অবৈধ পার্কিং। গতকাল বণিক বার্তায় প্রকাশিত প্রধান সংবাদে বলা হয়েছে, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ চার লেন মহাসড়কে ৮০ কিলোমিটারে ৪০০ অবৈধ পার্কিং স্পট রয়েছে। আর কারণে সংশ্লিষ্ট মহাসড়কে গাড়ির গতি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, সৃষ্টি হচ্ছে যানজটও। দুর্ঘটনার প্রবণতাও বাড়িয়ে তুলছে অবৈধ পার্কিং। অথচ মহাসড়কের বৈশিষ্ট্য হলো, নিরবচ্ছিন্নভাবে গাড়ি চলাচল করবে। বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের কোনো মহাসড়ক তো নেই-, তার ওপর বাজার, পার্কিং, স্কুল-কলেজ ইত্যাদি স্থাপনের মাধ্যমে গাড়ির গতি ব্যাহত করা হচ্ছে। অবৈধ পার্কিং উচ্ছেদ করতে হলে সর্বাগ্রে প্রয়োজন গাড়ি পার্কিংয়ের সুনির্দিষ্ট স্থান তৈরি করে দেয়া। বাংলাদেশে মহাসড়ক বলে কিছু নেই। এখানে দ্রুতগতিতে গাড়ি চলতে পারে এমন কোনো সড়ক নেই এবং সড়কটি বাধাহীন বা নিরবচ্ছিন্ন নয়। অসংখ্য মোড় রয়েছে। মহাসড়কে বাসস্ট্যান্ড হাটবাজার রয়েছে। ফলে রাস্তা ভালো হলেও তা কোনোভাবেই মহাসড়ক নয়। বর্তমান সড়কগুলোকেও মহাসড়কে রূপান্তরের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেছে এবং যাচ্ছে। খুবই হতাশা নিয়ে বলতে হচ্ছে, গত ৪৭ বছরে দেশে একটিও বাধাহীন মহাসড়ক তৈরি হয়নি।

সঠিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে গেলে তার উপযোগী কাঠামো তৈরি করতে হবে। মহাসড়ক তৈরির সময় স্থানীয় চাহিদা বিবেচনায় রাখতে হবে। আমাদের মহাসড়কে আইনগতভাবে নছিমন, করিমন বা ভটভটির মতো যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ। কিন্তু এগুলো চলবে কোথায়, সে বিষয় বিবেচনায় রাখতে হবে। আমাদের গ্রামীণ অর্থনীতিতে এর ভূমিকা রয়েছে। ফলে যত আইন বা কঠোর ব্যবস্থাপনাই নিশ্চিত করা হোক না কেন, তাতে নছিমন বা করিমনকে ঠেকানো যাবে না। এর সম্ভাবনা বিবেচনায় নিয়ে সেই অনুযায়ী অবকাঠামো তৈরি করতে হবে। ২০০৪ সালে একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে হাটিকুমরুল সড়ক করা হয়েছিল। সেটি করা হয়েছিল দ্বিস্তরবিশিষ্ট। দুই পাশে নিচের স্তরে স্থানীয় পর্যায়ের যানবাহন চলবে এবং মাঝে উপরের স্তরে নিরবচ্ছিন্ন যানবাহন চলবে। রকম সড়ক তৈরি করা গেলে স্বাভাবিকভাবেই নছিমন বা করিমনের মতো যানবাহন মহাসড়কে চলাচল বাধাগ্রস্ত করবে না।

রাস্তাকে ব্যবসাকেন্দ্র বা পার্কিং হিসেবে ব্যবহারের প্রবণতা কাম্য নয়। এজন্য এসব অবৈধ পার্কিং স্থাপনা উচ্ছেদ করা দরকার। তবে বিষয়টি আমাদের সমাজ বাস্তবতায় কিছুটা স্পর্শকাতরও বটে। কেননা এর ওপর অনেকের জীবন-জীবিকা নির্ভরশীল। গত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ব্যাপারে কঠোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা সফল হয়নি। প্রকৃতপক্ষে পরিস্থিতির জন্য আমাদের জীবনমানই দায়ী। আমাদের জীবনমানের কাঙ্ক্ষিত উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত সমস্যা পুরোপুরি দূর হবে না। গাড়িচালকরা রাস্তার ওপর পার্কিং করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে অনেক অবৈধ পার্কিং অন্যত্র সরিয়ে নেয়া যায়। কিন্তু ব্যাপারে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। আমরা মনে করি, নিরবচ্ছিন্নভাবে যান চলাচলের জন্য পুরো রাস্তার সদ্ব্যবহার একান্ত প্রয়োজন। যানজট দূর করতেও এর কোনো বিকল্প নেই।

রাস্তার ওপর অবৈধ বাজার গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন