বানৌজা তিতুমীরকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান

সমুদ্রসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে: রাষ্ট্রপতি

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, খুলনা

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, ভারত মিয়ানমারের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ তার নিজের দেশের প্রায় সমপরিমাণ সমুদ্রসীমা অর্জন করেছে। আমাদের বিশাল সমুদ্র এলাকা প্রাকৃতিক সম্পদ অর্থনৈতিক সম্ভাবনায় ভরপুর। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্লু-ইকোনমির সম্ভাবনা বাস্তবায়নে দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণ এর সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বহির্বিশ্বের সঙ্গে দেশের মোট বাণিজ্যের ৯০ শতাংশেরও বেশি সমুদ্রপথেই পরিচালিত হয় এবং দেশের প্রায় অর্ধেক জনসংখ্যা প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে সমুদ্রের ওপর নির্ভরশীল। তাই সমুদ্র সীমানার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। আমাদের নৌসদস্যরা বিভিন্ন প্রতিকূলতা মোকাবেলা করে সার্বক্ষণিক সমুদ্র এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে চলেছেন।

গতকাল বেলা ১১টায় বানৌজা তিতুমীরে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অপারেশনাল লজিস্টিকস কাজে সহায়তা প্রদানের স্বীকৃতিস্বরূপ নৌবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি বানৌজা তিতুমীরকে ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (জাতীয় পতাকা) প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি। সময় তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং ভূ-রাজনৈতিক বিবেচনায় একটি আধুনিক নৌবাহিনী গড়ে তুলতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন।

আবদুল হামিদ বলেন, বর্তমান সরকার বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। নৌবাহিনীকে আধুনিক, ত্রিমাত্রিক যুগোপযোগী বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশের অপার সম্ভাবনাময় সমুদ্রসম্পদ আর সার্বভৌমত্ব রক্ষার পবিত্র দায়িত্ব পালনে ফোর্সেস গোল-২০৩০-এর আলোকে নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক সারফেস ফ্রিট, সাবমেরিন, নেভাল এভিয়েশন নৌ-কমান্ডো সোয়াডস। একই সঙ্গে আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ভিশন-২০৪১ প্রণয়নের কাজ এগিয়ে চলছে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশের বিশাল সমুদ্রসীমার সার্বভৌমত্ব রক্ষাসহ সমুদ্রে নৌবহরের প্রশিক্ষণ লজিস্টিকস সহায়তা প্রদান করছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রধান নৌঘাঁটি বানৌজা তিতুমীর। দীর্ঘ ৪৪ বছর ধরে প্রশাসনিক, লজিস্টিকস সহযোগিতাসহ নৌসদস্যদের পেশাগত দক্ষতা অর্জনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে ঘাঁটি।

তিনি বলেন, নৌবাহিনীর নবীন নাবিক সৃষ্টির দক্ষ সূতিকাগার হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করেছে ঘাঁটি। এর অধীনে পরিচালিত নবীন নাবিক প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় এবং নেভাল প্রভোস্ট অ্যান্ড রেগুলেটিং স্কুল নাবিকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। পাশাপাশি সরবরাহ শাখার

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন