কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগাম বৃষ্টির কারণে পেঁয়াজ উৎপাদন কম হয়েছে। তাই দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় দ্রুত বিদেশ থেকে আমদানি বাড়ানো হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে আরো আগে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন ছিল।
গতকাল রাজধানীতে বাংলাদেশের কীটপতঙ্গের ই-সার্ভিল্যান্স এবং ফল আর্মিওয়ার্ম দমন প্রকল্পের ইনসেপশন কর্মশালায় এসব কথা বলেন তিনি। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) এবং খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ভারতীয় পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়া প্রসঙ্গে কৃষিমন্ত্রী বলেন, নিজেদের কোনো সমস্যা হলে প্রতিবেশীর বিষয়টি আমলে নেয় না ভারত। তারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়, ট্যাক্স বসায় অথবা রফতানি নিষিদ্ধ করে। ২০১১ সালে আমাদের সমস্যা হয়েছিল, তখনো তাদের উদ্ধৃত্ত ছিল। কিন্তু তখনও তারা রফতানি নিষিদ্ধ করেছিল। এবার তাদের দেশে দাম বেড়েছে। ফলে আমাদের দেশেও দাম বেড়ে গেছে। অবশ্য দেশের বাজারে পেঁয়াজের এ সংকট ‘সাময়িক’।
তিনি বলেন, আমদানির অংশ হিসেবে মিসর, তুরস্ক ও মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আনার পাশাপাশি অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করতে পাইকারি বাজারগুলোয় অভিযান শুরু করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। টিসিবির মাধ্যমে সারা দেশে ট্রাকে করে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ সংকট মোকাবেলায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ঢাকার বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকা ছাড়িয়ে যায়।
কৃষি উন্নয়নের বিষয়টি উল্লেখ করে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমরা শুধু গার্মেন্টসের ওপর নির্ভরশীল থাকব না। কৃষিও দেশের অর্থনীতিতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে।
পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের একটু কষ্ট হচ্ছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, মিডিয়াও খুব সেনসিটিভ। তবে এটা মেইন ফুড না। আমাদের মেইন স্পাইস। আমরা এটার ব্যাপক ব্যবহার করি। এ বছর পেঁয়াজের সমস্যা হয়েছে। পেঁয়াজ-রসুন এমন একটি ফসল, কোনো বছর কৃৃষক বিক্রিই করতে পারে না, আবার কোনো বছর দাম বেড়ে যায়।
ডিএই মহাপরিচালক ড. মো. আবদুল মুঈদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুলতানা আফরোজ, জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন, বিইআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. মো. কবির ইকরামুল হক।
