সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছেন: বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে, তুরস্ক থেকেও আসতে শুরু করেছে। ফলে দু-একদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে। তিনি বলেন, সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী কথা বলেন। সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব . মো. জাফর উদ্দিন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, মিয়ানমার থেকে আজ (বুধবার) ৪৮৩ টন পেঁয়াজ এসেছে। একই দিনে আরো একটি লট আসার কথা রয়েছে, সেটির পরিমাণ হবে ৪০০-৫০০ টন। প্রতিদিনই মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজ আসছে। এছাড়া তুরস্ক থেকেও আসতে শুরু করেছে। কাজেই দু-একদিনের মধ্যেই পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত প্রথমে পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। পরে তারা রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। সংবাদে কিছু সুযোগসন্ধানী ব্যবসায়ী পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। কারা কারা কাজ করেছেন, সে ব্যাপারে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এজন্য মনিটরিং টিম কাজ করছে।

তিনি বলেন, পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়ানো ছাড়া পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের কোনো পথ নেই। তবে এক্ষেত্রে ক্রেতাদেরও সচেতনতা প্রয়োজন। ভারত পেঁয়াজ রফতানি করবে না, সংবাদ পেয়ে ক্রেতারা যেভাবে পেঁয়াজ কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছেন, সেটিও অস্বাভাবিক দাম বাড়ার একটি কারণ।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, মিয়ানমার থেকে ৪২-৪৩ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ আনা হচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবহন খরচ এবং ব্যবসায়ীদের মুনাফা যুক্ত করে সর্বোচ্চ এর দাম হতে পারে ৫০-৫৫ টাকা। এর বেশি হওয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ নেই। তবে ব্যবসায়ীরা যে দাম বাড়িয়েছেন, তা পুরোপুরি অযৌক্তিক।

টিপু মুনশি বলেন, হিলি স্থলবন্দর থেকে টিসিবি ভারতের পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে কিনে এনে ১৫ টাকা ভর্তুকি দিয়ে প্রতি কেজি ৪৫ টাকা দরে বিক্রি করছে। টিসিবির বিক্রির কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত হবে কিনা, তা ভেবে দেখা হচ্ছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, খুচরা বাজারে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়ার উদ্যোগের কথা চিন্তা করছে সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন