খেলা

সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে গোল পেলে হাতে ট্যাটু বানানোর ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্লাব ব্রুগের স্ট্রাইকার ইমানুয়েল ডেনিস। তার এ ঘোষণা গুরুত্বপূর্ণ কিছু ছিল না। মাত্র ২১ বছর বয়সী একজন নাইজেরিয়ানের জন্য বার্নাব্যুতে খেলতে পারাটাই যেখানে ছিল স্বপ্নের মতো। কিন্তু কে জানত ফুটবল দেবতা ইমানুয়েলের জন্য অর্ঘ্য হাতে অপেক্ষা করছিলেন। গ্রুপ ‘এ’র এই ম্যাচ যখন ৪০ মিনিটও পার করেনি, ততক্ষণে ইমানুয়েলের নামের পাশে দুই গোল।

গোটা বার্নাব্যু তখন হতাশার চাদরে মোড়া। রিয়াল কোচ জিনেদিন জিদান হন্যে হয়ে খুঁজছেন বাঁচার উপায়। প্রথমার্ধের পর আর নামালেনই না গোলকিপার থিবো কোর্তোয়াকে। তার বদলে এলেন আলফেনসো আরিওলা। নাচোর বদলে নামলেন মার্সেলো। মরিয়া চেষ্টাই শেষ পর্যন্ত হজম করা দুই গোল ফিরিয়ে দিতে পারলেও জয়ের স্বাদ আর পাওয়া হয়নি ‘লস ব্লাঙ্কোস’দের। অবশ্য নাটকীয়ভাবে পাওয়া এ ড্র রিয়ালের জন্য জয়ের সমান। নয়তো এ ম্যাচে হেরেও যেতে পারত রেকর্ড ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

নিজেদের মাঠে শুরুতে মাঝ মাঠের দখল থাকলেও রিয়াল সুযোগ তৈরি করতে পারছিল সামান্যই। গ্যারেথ বেলের অনুপস্থিতিও আক্রমণে রিয়ালের ধার কমিয়ে দিয়েছিল অনেকটাই। আর এই সুযোগে মাত্র ৯ মিনিটে লিড নিয়ে নেয় ব্রুগে। টাউসের ক্রসে বল পেয়ে ইমানুয়েলের নেয়া শট ঠিকঠাক ছিল না। কিন্তু বলের দিক বুঝতে ভুল করে ফেলেন কোর্তোয়া। যতক্ষণে হুঁশ ফিরেছে, বল তখন জড়িয়ে গেছে জালে। ভিএআরের সাহায্যেও পরিবর্তন করা যায়নি ফল। আগের ম্যাচে পিএসজির কাছে ৩-০ গোলের হার, এদিকে দুই গোলো পিছিয়ে পড়া। সব মিলিয়ে ব্যাকফুটে থাকা রিয়াল ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালায়। কিন্তু কোনোভাবেই সুযোগ কাজে লাগানো যাচ্ছিল না। উল্টো ব্রুগেও রিয়াল ডিফেন্স ভাঙার কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। সেই সঙ্গে ৩৯ মিনিটে পেয়ে যায় কাঙ্ক্ষিত গোলটিও। নিজেদের মাঠেই তখন ০-২ গোলে পিছিয়ে রিয়াল।

দ্বিতীয়ার্ধে রিয়াল চেষ্টা চালিয়ে যায় ম্যাচে ফেরার। ৫৫ মিনিটে অধিনায়ক সার্জিও রামোস লক্ষ্যভেদ করলে ব্যবধান নেমে আসে ২-১-এ। এরপর রিয়ালের সব আক্রমণ প্রতিরোধ গড়ে ঠেকিয়ে দিচ্ছিল ব্রুগে। তবে ৮৪ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন ব্রুগে অধিনায়ক ভোরমার। তখনই ফ্রি কিক পেয়েছিল রিয়াল। ক্রুসের মাপা কিকে মাথা লাগিয়ে দলকে সমতায় ফেরান কাসেমিরো। এই