জাদোন সানচোর দলবদলের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। কিন্তু সানচো এখনো বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের হয়েই খেলে যাচ্ছেন। ডর্টমুন্ডের হয়ে তার পারফরম্যান্সও বেশ দারুণ। তবে সাম্প্রতিক সময়ে দল হিসেবে ডর্টমুন্ডের পারফরম্যান্স একেবারেই দারুণ কিছু নয়। গত মৌসুমে বায়ার্নকে টেক্কা দিয়েও শেষ পর্যন্ত শিরোপা জেতা হয়নি। তাই সব মিলিয়ে সানচোর মতো তরুণদের জন্য এখন ডর্টমুন্ডে থেকে যাওয়া কঠিন। বিশেষ করে এ পর্যায়ে ফর্মে থাকা শীর্ষ দলগুলোকেই পাখির চোখ করেন সানচোর মতো তারকারা। এবার ডর্টমুন্ড কর্তৃপক্ষও মনে করছে সানচোকে ধরে রাখা তাদের জন্য বেশ কঠিন কাজ হবে। বিশেষ করে ম্যানচেস্টারের দুই ক্লাব ইউনাইটেড ও সিটি উভয়ই সানচোকে পেতে আগ্রহী। তাই জার্মান ক্লাবটির স্পোর্টস ডিরেক্টর মাইকেল জোর্কও এ ইংলিশ তারকার দল ছেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন।
সানচো এর আগে খেলেছেন ম্যানসিটিতে। তবে দলের শিরোপা ক্যাবিনেট ভারী থাকলেও সানচো হতাশ ছিলেন ম্যাচ টাইম নিয়ে। মাঠে নামতে না পারলে নিজেকে মেলে ধরার সুযোগও থাকে না। তাই একপর্যায়ে সিটি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন সানচো। অবশ্য তাকে ধরে রাখার জোর চেষ্টা করেছিলেন সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা। তবে দলে থাকতে অনাগ্রহী এ ইংলিশ তারকা শেষ পর্যন্ত সিটি ছেড়ে যান। ডর্টমুন্ডের জার্সিতে নিজের সামর্থ্য যেন আরো দারুণ ফুটিয়ে তোলেন তিনি। সে সুবাদে এরই মধ্যে ইংল্যান্ডের হয়ে গত অক্টোবরে অভিষেক হয়ে গেছে তার। ডর্টমুন্ডের হয়ে তার পারফরম্যান্সই এ দরজা খুলে দিয়েছে তাকে। তবে এবার ডর্টমুন্ডও ছেড়ে যেতে চান তিনি। নিশ্চয় এখন সানচোর মনে ম্যাচ টাইম পাওয়ার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। তাই হয়তো এবার সিটি ডাকলেও ঘরের ছেলে ফিরে যাবেন ঘরে। অবশ্য ম্যানচেস্টারের আরেক দল ইউনাইটেডও সানচোর ব্যাপারে সমান আগ্রহী।
এদিকে সানচোকে ধরে রাখার ব্যাপারে সন্দিহান জোর্ক বলেন, ‘সানচো আরো পাঁচ বছর এখানে খেলবে না, এটা বোঝার জন্য আপনাকে ভবিষ্যত্দ্রষ্টা হতে হবে না।’ তিনি এ সময় আরো বলেন, ‘কিন্তু সে জানে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডে সে নিজের উন্নতির জন্য ইতিবাচক পদক্ষেপ নিয়েছে। আমার যথেষ্ট সংশয় আছে, ইংলিশ ক্লাবে এটা সম্ভব হতো। আমরা অল্প বয়স থেকেই খেলোয়াড়দের ওপর আস্থা রাখি। আমরা তাদের খেলাতে ভয় পাই না। এটা সানচো নিজেও স্বীকার করে।’
ডর্টমুন্ডের হয়ে ৬৪ ম্যাচ খেলে এখন পর্যন্ত