এনগলু কান্তে বর্তমান সময়ে অন্যতম সেরা মিডফিল্ডারদের একজন। বিশেষ করে মাঝমাঠে খেললেও গোটা মাঠেই নিজের প্রভাব রাখতে পারেন এ ফরাসি তারকা। যতই দিন যাচ্ছে, কান্তে যেন আরো পরিণত হচ্ছেন। তাকে দলে পেতে তাই মরিয়া হয়ে আছে ইউরোপের জায়ান্ট দলগুলোও। কান্তে দীর্ঘদিন ধরে চেলসিতে খেললেও এবার তার দিকে হাত বাড়িয়েছে জুভেন্টাস। তাকে পাওয়ার ব্যাপারে নিজের ইচ্ছার কথা এরই মধ্যে ক্লাব সহসভাপতি পাভেল নেদভেদকেও জানিয়েছেন জুভেন্টাস কোচ মাউরিজিউ সারি। এর আগে সারির অধীনে চেলসিতে খেলেছেন কান্তে। সেখানেই মূলত কান্তের নৈপুণ্যে মুগ্ধ হন সারি। তাকে দলে আনতে এখন মরিয়া চেষ্টা শুরু করেছেন তিনি।
মিডফিল্ডে সারি এখন মিরালেম পিয়ানিচ ও অ্যারন রামসির সঙ্গে কান্তেকে যোগ করে আরো বেশি শক্তিশালী করে তুলতে চান। সারি বিশ্বাস করেন, কান্তে এলে তাদের মিডফিল্ড হবে বিশ্বসেরা। পাশাপাশি সেক্ষেত্রে জুভেন্টাসের রক্ষণও বেশ দৃঢ়তা পাবে। আর এ তিনজনের সামনে খেলবেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ও গঞ্জালো হিগুয়েন। আশা করা হচ্ছে, ৭০ মিলিয়ন পাউন্ডের মতো খরচ করলেই কান্তেকে দলে নিয়ে আসতে পারবেন তারা। কোচের এ চাহিদাকে নিশ্চয় গুরুত্বসহকারেই নেবে জুভেন্টাস। কারণ এমনিতেই দলবদলের ব্যাপারে সারি খুব একটা বিলাসিতা দেখানোর মতো কোচ নন, বরং স্কোয়াডে থাকা খেলোয়াড়দের নিয়েই অনুশীলনে কাজ করতে আগ্রহী তিনি। পাশাপাশি অকারণে বড় কোনো খেলোয়াড়কেও দলে এনে বোঝা বাড়াতে নারাজ তিনি। সেক্ষেত্রে বেশ হিসাব-নিকাশ করেই খেলোয়াড় আনতে চান তিনি। তাই কান্তেকে আনার সিদ্ধান্ত নিলে সেটিও তিনি নিয়েছেন অংক কষে। নিজের চাহিদার কথা তাই কোনো রাখঢাক ছাড়াই জানিয়েছে তিনি। তার ইচ্ছা তুরিনে কান্তের সঙ্গে নতুন করে জুটি গড়ে তুলতে। পাশাপাশি ৭০ মিলিয়ন পাউন্ড কান্তের জন্য বড় কোনো মূল্যও নয়। বরং তাকে আনতে পারলে ইউরোপের সবচেয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ এক মিডফিল্ড গড়ে তুলতে সক্ষম হবে বলেও মনে করছেন সারি।
বিশ্বকাপজয়ী এ ফরাসি তারকার গতি ও সামর্থ্য সারিকে সবচেয়ে আকর্ষণ করেছে। এরই মধ্যে জুভেন্টাস মিডফিল্ডে প্রাণ ভোমরার কাজ করছেন পিয়ানিচ। মাঠের লড়াইয়ে পিয়ানিচ বেশ আগ্রাসী ভূমিকা রাখতে পারেন। তার সঙ্গে এবার কান্তেও চলে এলে মিডফিল্ডে পাওয়ার ও এনার্জি দুটোই বেড়ে যাবে, যা প্রতিপক্ষকে বিপাকে ফেলার জন্য যথেষ্ট। অন্যদিকে চেলসি কোচ ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ডের চোখ মূলত দলের তরুণ প্রজন্মের ওপর। সেক্ষেত্রে ২৮ বছর বয়সী কান্তের জন্য ভবিষ্যতে জায়গা ধরে রাখা কঠিন হয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি ইউরোপে সাফল্য পাওয়ার হাতছানিও কান্তেকে আগ্রহী করে তুলতে পারে ‘তুরিনের বুড়ি’দের ডেরায় আসার ব্যাপারে। মেইল