চীনে সর্বশেষ ফোন উৎপাদন কারখানাটিও বন্ধ করল স্যামসাং

বণিক বার্তা ডেস্ক

স্যামসাং ইলেকট্রনিকস চীনে নিজেদের ফোন উৎপাদন কারখানা বন্ধ করেছে। গতকাল দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে কারখানা বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়। খবর রয়টার্স।

বিবৃতিতে স্যামসাং জানায়, তারা সেপ্টেম্বরের শেষেই চীনে নিজেদের ফোন উৎপাদন কারখানার কার্যক্রম বন্ধ করেছে। চীনে এটিই স্যামসাংয়ের সর্বশেষ চালু থাকা ফোন উৎপাদন কারখানা। প্রতি মাসে কারখানাটিতে কত ইউনিট ফোন উৎপাদন হতো কিংবা এতে কর্মীসংখ্যা কত ছিল, সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি।

বিশ্বের বৃহৎ স্মার্টফোন বাজার চীন। অথচ দেশটিতে সর্বশেষ চালু থাকা স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানাটির কার্যক্রমও বন্ধ করল প্রতিষ্ঠানটি। চীনে বাজার দখল কমে শতাংশের নিচে নেমে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্যামসাং।

গত বছর ডিসেম্বরে চীনের তিয়ানজিনে একটি মোবাইল ফোন উৎপাদন কারখানা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল স্যামসাং। দেশটিতে স্থানীয় সাশ্রয়ী ডিভাইস নির্মাতাদের কারণে তীব্র প্রতিযোগিতা এবং বিক্রি কমে যাওয়ায় কারখানাটি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। এর ছয় মাস পর কার্যক্রম চালু থাকা বাকি একটি মাত্র স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানার উৎপাদন কমানোর ঘোষণা দেয় স্যামসাং।

চীনে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন বিক্রি ৪০ শতাংশ বেড়েছে। কিন্তু এর আগে টানা তিন প্রান্তিকে দেশটিতে ডিভাইস বিক্রির ক্ষেত্রে বড় ধরনের পতন দেখেছে প্রতিষ্ঠানটি। চীনের বাজারে নাজুক অবস্থানে থাকলেও বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারের শীর্ষস্থান এখনো দখলে রেখেছে স্যামসাং। ডিভাইস বাজারে চীনা প্রতিদ্বন্দ্ব্বীদের অংশীদারিত্ব ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। যে কারণে স্মার্টফোন ব্যবসার ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। চীনা প্রতিদ্বন্দ্বীরা তুলনামূলক কম দামে হ্যান্ডসেট বিক্রি করায় দেশটিতে চাহিদা কমেছে স্যামসাং ডিভাইসের। বর্তমানে চীনের স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের দখল শতাংশের নিচে নেমেছে। অথচ পাঁচ বছর আগেও দেশটিতে এর দখল ছিল উল্লেখযোগ্য। হুয়াওয়ের মতো প্রতিদ্বন্দ্বীদের কাছে বাজার দখল হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

স্ট্র্যাটেজি অ্যানালিটিকসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৩ সালে চীনের স্মার্টফোন বাজারে স্যামসাংয়ের দখল ছিল প্রায় ২০ শতাংশ। সেখান থেকে প্রতিষ্ঠানটির বাজার দখল সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। দেশটিতে অ্যান্টি দক্ষিণ কোরিয়া মনোভাবের কারণে স্যামসাং ডিভাইস বিক্রি কমেছে বলে মনে করা হয়।

বিবৃতিতে স্যামসাং জানিয়েছে, চীনের বাইরে তাদের স্মার্টফোন উৎপাদন কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা চলমান, তা সত্ত্বেও তাদের একটি কঠোর সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন