তীব্র জ্বালানি সংকটে কিউবা

বণিক বার্তা ডেস্ক

জ্বালানি সংগ্রহে গ্যাসস্টেশনগুলোয় গাড়ির দীর্ঘ লাইন, অন্যদিকে গাড়ির জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ লাইন। তবে দুটো লাইনই কেবল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হতে থাকে। কারণ জ্বালানি সংকটে গাড়িগুলো প্রয়োজনীয় গ্যাস পাচ্ছে না। আর গ্যাস না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় গণপরিবহন মিলছে না রাস্তায়। ফলে গন্তব্যে যেতে পারছেন না অধিকাংশ যাত্রী। তীব্র জ্বালানি সংকটের মুখে থাকা কিউবায় এটি এখন নিত্যদিনের দৃশ্য।

চলতি বছর থেকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের দেশটির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। পাশাপাশি দেশটিতে জ্বালানি সরবরাহের সবচেয়ে বড় উৎস মিত্র দেশ ভেনিজুয়েলার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দেশটিতে জ্বালানি সরবরাহ করতে পারছে না ভেনিজুয়েলা। এতে জ্বালানি সংকটে কঠিন সময় পার করতে হচ্ছে দেশটির নাগরিকদের।

২০০০ সালে ভেনিজুয়েলা কিউবার মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী, কিউবার পক্ষ থেকে চিকিৎসক পরামর্শকসহ অন্যান্য খাতে সেবা প্রদানের বিনিময়ে নগদ অর্থ ছাড়া ভেনিজুয়েলা থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করতে পারে।

তবে অভ্যন্তরীণ পরিশোধন কেন্দ্রগুলোর জন্য অপরিশোধিত জ্বালানি তেল সংগ্রহে কয়েক দশক ধরে ভেনিজুয়েলার ওপর নির্ভর করে আসছে কিউবা। বিদ্যুৎ উৎপাদন, শিল্প-কারখানা, গ্যাসস্টেশন, বিমানবন্দরসহ অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটাতে প্রতিদিন লাখ ৪৫ হাজার ব্যারেল জ্বালানি আমদানি করে দেশটি। আর ২০১৫ সালের আগ পর্যন্ত কেবল ভেনিজুয়েলা থেকে দৈনিক ৯০ হাজার ব্যারেল অপরিশোধিত জ্বালানি তেল গ্যাস আমদানি করা হতো। কিন্তু ২০১৬ সালের পর থেকে দেশটির জ্বালানি আমদানি কমে যেতে থাকে। সময় মিত্র দেশ ভেনিজুয়েলার উত্তোলন কমে যাওয়ায় কিউবায় রফতানি কমিয়ে আনে দেশটি। এছাড়া ২০১৭ সালে ভেনিজুয়েলার ওপর প্রথমবারের মতো নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে দেশটির রাষ্ট্রীয় তেল, গ্যাস কোম্পানি পিডিভিএসএর বিনিয়োগ সীমিত হয়ে পড়ে এবং উত্তোলন কমে যায় প্রতিষ্ঠানটির। এর প্রভাব পড়ে জ্বালানি আমদানিতে দেশটির ওপর নির্ভর করা কিউবায়। যদিও সে বছর কিউবার দৈনিক জ্বালানি তেলের উত্তোলন ছিল ৫১ হাজার ব্যারেল।

অন্যদিকে চলতি বছরের জানুয়ারিতে মার্কিন কোম্পানি মার্কিন সহায়তাপ্রাপ্ত বিদেশী কোম্পানিগুলোকে ভেনিজুয়েলার কাছে জ্বালানি তেল বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞার আওতায় নিয়ে আসে ট্রাম্প প্রশাসন। আর জুলাই থেকে ভেনিজুয়েলা-কিউবা রুটে চলাচল করা জাহাজগুলোকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়। ফলে ভেনিজুয়েলা থেকে কিউবার রাষ্ট্রীয় তেল-গ্যাস প্রতিষ্ঠান কিউবামেটালিসের জ্বালানি সংগ্রহ আরো সীমিত হয়ে যায়।

এদিকে কিউবা সরকারের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় অন্য দেশ থেকে জ্বালানি আমদানি করতেও হিমশিম খেতে হচ্ছে দেশটিকে। জ্বালানি সংকটের অবস্থায় খরচ কমাতে সরকার এখন রাস্তায় থাকা বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং শীততাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছে।

এমনকি বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সরকারের পক্ষ থেকে জনগণকে দিনের আলোয় কাজ শেষ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এছাড়া বাসায় গ্যাস সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। যাদের অনেকে কাঠ কয়লা দিয়ে রান্না করছেন। এমনকি জ্বালানি সংকটে রাস্তায় পর্যাপ্ত গণপরিবহন না থাকায় ঘোড়ার গাড়ির ব্যবহার

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন