ব্যাংকের চেক, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সনদসহ বিভিন্ন নিরাপত্তাসামগ্রী ছাপানোর জন্য প্রিন্টিং প্রেস দিয়েছিলেন সেলিম প্রধান। সে প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে নেন শতকোটি টাকা ঋণ। যেসব ব্যাংকের টাকায় ব্যবসা শুরু করেছেন, সে টাকা আর ফেরত দেননি তিনি।
সেলিম প্রধানের উত্থান শুরু ২০০৯ সাল-পরবর্তী সময়ে। শুরুতে জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস লিমিটেড (জেবিএসপিপিএল) নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে ব্যবসায় নামেন তিনি। এ প্রতিষ্ঠানের নামে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেন ৪৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। ঋণ নেয়ার পর আর ব্যাংকমুখো হননি। ২০১৭ সাল পর্যন্ত রূপালী ব্যাংকের শীর্ষ খেলাপি প্রতিষ্ঠান ছিল জেবিএসপিপিএল। ২০১৮ সালে এসে প্রতিষ্ঠানটির কাছে রূপালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় ১২৪ কোটি টাকা। তদবিরের জোরে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ সে ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা পেয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঋণের প্রথম কিস্তি জমা দেয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই গত সোমবার গ্রেফতার হলেন এই ক্যাসিনো মাফিয়া।
রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ বণিক বার্তাকে বলেন, ‘জাপান-বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপারস লিমিটেডের ঋণটি গত বছর পুনঃতফসিল করা হয়েছে। এক বছরের গ্রেস পিরিয়ড থাকায় প্রতিষ্ঠানটিকে এখনো ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়নি। তাই ঋণটি বর্তমানে নিয়মিত। যে সময় ঋণটি দেয়া হয়েছে কিংবা পুনঃতফসিল করা হয়েছে, তখন আমি রূপালী ব্যাংকে ছিলাম না।’
রূপালী ব্যাংকের পাশাপাশি আরো একাধিক ব্যাংকে বড় অংকের ঋণ রয়েছে সেলিম প্রধানের। ব্যাংকঋণের অর্থ পরিশোধ না করলেও শুরু থেকেই রমরমা ব্যবসা করেছিলেন তিনি।
২০১৭ সালের শেষের দিকে রূপালী ব্যাংকের ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়ে সেলিম প্রধানের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তখন তিনি বলেছিলেন, ‘এমন একটি কোম্পানি করছি, যেটি এশিয়া মহাদেশের কোনো দেশে নেই। পরিকল্পনার সিংহভাগই এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। কোম্পানিটির জন্য অনেক টাকা লাগবে। এজন্য ব্যাংকগুলোর সহযোগিতা প্রয়োজন।’
সেলিম প্রধান তখন কোম্পানি খোলার কথা বললেও ঠিক কী ধরনের কোম্পানি খুলবেন, সেটি বলেননি। তবে র্যাবের সাম্প্রতিক তত্পরতার
- প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৬০%, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ
- কোনো রাজনৈতিক মামলা বিএনপির নামে করা হয়নি
- বরাদ্দের আগেই ‘নির্দিষ্ট প্রতীকে’ ভোট চাওয়ায় প্রার্থীকে শোকজ
- থার্ড টার্মিনালের অস্থায়ী প্রাচীর ভেঙে ঢুকে পড়ল বাস প্রকৌশলীর মৃত্যু
- গোটা দেশকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছে —মির্জা ফখরুল
- হিটস্ট্রোকে মারা যাচ্ছে খামারের শত শত মুরগি