বিভিন্ন পয়েন্টে পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গতকাল ৩টার দিকে হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি বিপত্সীমা অতিক্রম করে। পয়েন্টটিতে পদ্মা নদীর পানি রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার, যা বিপত্সীমার চেয়ে ৩ সেন্টিমিটার বেশি।
ভারতের বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ধেয়ে আসা ঢল এবং ফারাক্কা বাঁধের সব স্লুইসগেট খুলে দেয়ার কারণে পদ্মায় পানিপ্রবাহ বেড়েছে। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতি বছর জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ফারাক্কা বাঁধের গেট খোলা থাকে। এটি নিয়মিত ব্যবস্থাপনার অংশ। গত কয়েকদিন ধরে গঙ্গা ও পদ্মা নদীর অববাহিকায় অতিবৃষ্টির কারণে নতুন করে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারণে উজানে ভারতের বিভিন্ন জেলা ও ভাটিতে বাংলাদেশে বন্যার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। জেলা, উপজেলা পর্যায়ের স্থানীয় প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা এবং জেলা পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতিও নেয়া হয়েছে।
উপদ্রুত অঞ্চলগুলো থেকে বণিক বার্তা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
রাজবাড়ী: জেলায় পদ্মার পানি বর্তমানে বিপত্সীমার ছয় সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এরই মধ্যে জেলার পাঁচ ইউনিয়নের অন্তত ২০টি গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া পদ্মার পানি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শুরু হয়েছে ভাঙন। এর মধ্যে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ও দেবোগ্রাম ইউনিয়ন অংশে নদী উত্তাল রয়েছে সবচেয়ে বেশি। ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরিঘাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ক্রমেই প্লাবিত হয়ে পড়ছে নদীপারের ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি।
স্থানীয়রা জানান, গত পাঁচদিনে গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ঢল্লাপাড়া, ১ নং বেপারী পাড়া, জলিল মণ্ডলের পাড়া এবং দেবোগ্রাম ইউনিয়নের কাওলজানি গ্রামের কয়েকশ বিঘা ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া ভাঙনের শিকার হয়ে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে প্রায় ৩০০ পরিবারের ভিটেমাটি। ঘরবাড়ি সরিয়ে নিয়েছে প্রায় ২০০ পরিবার। তাছাড়া ওই এলাকার প্রায় ৫০০ পরিবার ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছে। এছাড়া দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের লঞ্চঘাট ও ফেরিঘাটসহ সংলগ্ন তিন শতাধিক বসতবাড়ি, একটি মসজিদসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাও এখন বেশ ঝুঁকিতে রয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন ঢল্লাপাড়া, ১ নং বেপারী পাড়া, হাতেম মেম্বার পাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ভয়ে অনেকেই তাদের বসত