ভবদহের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প : দুই দফায় প্রাক্কলিত ব্যয় বেড়েছে ৩৫০ কোটি টাকা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি যশোর

 যশোরের ভবদহ অঞ্চলের জলাবদ্ধতা দূরীকরণে সংশোধন করা হয়েছে ভবদহ তত্সংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের (দ্বিতীয় পর্যায়) উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) ডিপিপিতে দুই দফায় প্রাক্কলিত ব্যয় বেড়েছে ৩৫০ কোটি টাকার বেশি ৪৪৮ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ব্যয় গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৮০৭ কোটিতে

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ৪৪৮ কোটি ৭১ লাখ ২৩ হাজার টাকার ভবদহ তত্সংলগ্ন বিল এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্পের ডিপিপি তৈরি করে তবে জোয়ারাধার রাখার কারণে গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত যাচাই কমিটির সভায় প্রকল্পটি বাতিল করা হয় একই সঙ্গে ওই সভায় ডিপিপি সংশোধনের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়

এরপর পাউবোর যশোর কার্যালয় ডিপিপি সংশোধন করে গত ৩০ এপ্রিল প্রধান কার্যালয়ে পাঠায় এতে ১০৭ দশমিক ৯০ কিলোমিটার নদী পুনঃখনন, ৩০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিং, ৬২টি খালের ২৬৪ দশমিক ৫১ কিলোমিটার পুনঃখনন, বিভিন্ন খালের ওপর ১৯টি কালভার্ট নির্মাণ, ৫০ দশমিক ২০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ, ১টি স্লুইস গেট নির্মাণ ১৯টির মেরামত, পাঁচটি ইকোপার্ক নির্মাণ, ১৯ দশমিক ৫০ কিলোমিটার পরিদর্শন সড়ক নির্মাণ দশমিক ৪০ কিলোমিটার প্রতিরক্ষা কাজের উল্লেখ করা হয়েছে সংশোধিত ডিপিপিতে জোয়ারাধার না রেখেই প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয় ৬৫৫ কোটি ৮৮ লাখ টাকা গত সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডিপিপি যাচাই-বাছাই করে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় যেখানে টাকার পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮০৭ কোটি ৯২ লাখ ১২ হাজারে ফলে প্রথম থেকে পর্যন্ত ডিপিপির প্রাক্কলিত ব্যয় বাড়ল ৩৫৯ কোটি ২০ লাখ ৮৯ হাজার টাকা

এদিকে ভবদহ অঞ্চলের ভুক্তভোগী মানুষ বলছে, প্রকল্পের মাধ্যমে নদী কেটে ভবদহের সমস্যার সমাধান হবে না নদী খনন করা হলেও পুনরায় ভরাট হয়ে যাচ্ছে এখন ফের বড় প্রকল্প তৈরি করে নদী খননের পরিকল্পনা করা হচ্ছে এতে জলাবদ্ধতা নিরসন হবে না বরং জোয়ারাধার বাস্তবায়ন করা হলে অঞ্চলের মানুষ জলাবদ্ধতার দুর্ভোগ থেকে বাঁচত

ভবদহের জলাবদ্ধতার সমাধানে আন্দোলনরত সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ যশোরে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় কর্মশালায় অঞ্চলে জোয়ারাধার বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল তত্কালীন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ ওই কর্মশালায় ঘোষণা দিয়েছিলেন, পরের শুষ্ক মৌসুমেই জোয়ারাধারের

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন