গাজীপুরের শ্রীপুরে শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৬৩ সালে। পৌর শহরের কাছেই এ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক স্তরে সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি ভোকেশনালে পড়াশোনা করেছে প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থী। তাদের পাঠদানে অন্তত ৩২টি শ্রেণীকক্ষের প্রয়োজন হলেও রয়েছে মাত্র ১১টি। এ অবস্থায় শিক্ষার্থীদের মাঠে খোলা জায়গায় দাঁড় করিয়ে পাঠদানে বাধ্য হচ্ছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, বিদ্যালয়টিতে মোট পাঁচটি ভবনে শ্রেণীকক্ষ রয়েছে ১৬টি। এর মধ্যে দুটি ভবন পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বহু আগে। ফলে ভবন দুটির পাঁচটি কক্ষ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় বাকি ১১টি কক্ষে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থীর পাঠদান নিশ্চিত করা যাচ্ছে না।
শ্রীপুর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এ বিদ্যালয়ে ২৩ জন শিক্ষক ও ১৪ জন কর্মচারী রয়েছেন। শিক্ষার্থী রয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণীতে ১৮৮ জন, সপ্তম শ্রেণীতে ১৪১, অষ্টম শ্রেণীতে ১২৪, নবম শ্রেণীতে ১০১ ও দশম শ্রেণীতে ১০০ জন। প্রতিটি শ্রেণীরই দুটি করে শাখা রয়েছে। এছাড়া ভোকেশনালে নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীতে শিক্ষার্থী রয়েছে মোট ৩২১ জন। শিক্ষার্থী অনুযায়ী শ্রেণীকক্ষ না থাকায় ঝড়, বৃষ্টি, রোদ উপেক্ষা করেই খোলা স্থানে পাঠদান করা হচ্ছে। বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় মেয়েদের দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরেই জানানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, শ্রীপুরের বিভিন্ন বিদ্যালয়ে তেমন ছাত্র-ছাত্রী না থাকলেও নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু উপজেলা সদরে অবস্থান হলেও প্রায় এক হাজার শিক্ষার্থীর এ বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ হচ্ছে না।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানায়, শ্রেণীকক্ষের অভাবে তাদের প্রতিনিয়ত খোলা স্থানে দাঁড়িয়ে ক্লাস করতে হয়। এভাবে পাঠগ্রহণের সময় মনোযোগও অন্যদিকে চলে যায়।
বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইন্তাজ উদ্দিন বলেন, খোলা স্থানে ক্লাস নিতে গিয়ে নিয়মিত বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এ বিদ্যালয়ে শ্রেণীকক্ষ সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।
এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ওই বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ সংকটের বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছিল। আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে এ সংকটের বিষয়ে বলেছি। আশা করছি, খুব দ্রুত বিদ্যালয়টিতে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
গাজীপুর ও নরসিংদী শিক্ষা বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান বলেন, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ভবন নির্মাণকাজের বরাদ্দ মূলত স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারের মাধ্যমে হয়ে থাকে। আমরা সংসদ সদস্য মহোদয়ের ডিও লেটার পেলে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেব।