সিলেট ন্যাচারাল পার্ক : সাইনবোর্ড আর সীমানা প্রাচীরেই ৫৭ বছর পার

বণিক বার্তা প্রতিনিধি সিলেট

 সিলেট ন্যাচারাল পার্ক তৈরির জন্য এমএজি ওসমানী বিমানবন্দর সড়কের বড়শালা এলাকায় জমি অধিগ্রহণ করা হয় ১৯৬২ সালে এরপর কেটে গেছে ৫৭ বছর কিন্তু এখন পর্যন্ত শুধু সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ একটি সাইনবোর্ড স্থাপন ছাড়া পার্কের আর কোনো কাজ হয়নি

সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রথমে জমির মালিকানা নিয়ে জটিলতায় ন্যাচারাল পার্ক তৈরির কাজ আটকে যায় পরে জটিলতার নিষ্পত্তিও হয় কিন্তু পার্ক তৈরিতে একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করা হলেও ঠিকাদারদের কাছ থেকে আশানুরূপ সাড়া পাওয়া যায়নি

জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, ন্যাচারাল পার্ক তৈরির জন্য সিলেট সদর উপজেলার বড়শালায় মোট ৬৩ দশমিক ৯২ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয় পরবর্তী সময়ে ওসমানী বিমানবন্দরের রানওয়ের জন্য সেখান থেকে ১৯ দশমিক ৬৫ একর সড়কের জন্য একর জমি ছেড়ে দেয়া হয় বর্তমানে পার্কের আওতায় জমি রয়েছে ৪২ দশমিক ৪৭ একর

জমি অধিগ্রহণের দীর্ঘকাল পর ১৯৯৩ সালে পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেয় জেলা পরিষদ কিন্তু ওই সময় জমির মালিকানা দাবি করে মান্নান মিয়া নামে এক ব্যক্তি জজ আদালতে স্বত্ব মামলা দায়ের করেন ওই মামলায় ২০০০ সালে বাদীর পক্ষে রায় দেন আদালত রায়ের

বিরুদ্ধে পরের বছর উচ্চ আদালতে আপিল করে জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষ আপিলের শুনানি শেষে ২০০৩ সালের জেলা পরিষদের পক্ষে রায় দিয়ে নিম্ন আদালতের ডিক্রি বাতিল করেন উচ্চ আদালত এতে ন্যাচারাল পার্কের জমি নিয়ে জটিলতার অবসান হয় এর পরই পার্কের পুরো জমিতে সীমানাপ্রাচীর নির্মাণ করে জেলা পরিষদ টানানো হয় এই ন্যাচারাল পার্কের মালিক জেলা পরিষদ লেখা সাইনবোর্ড তবে মূল পার্কের কাজ আর এগোয়নি

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সিলেট শহরে যখন ওই ন্যাচারাল পার্ক তৈরির উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল, তখন সব টিলা বন ধ্বংস হয়নি জনবসতিও ছিল কম বর্তমান প্রেক্ষাপটে পার্ক নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা আরো বেড়েছে তবে অর্ধশত বছর পরও কেন পার্কটি চালু হয়নি, তা আমাদের বোধগম্য নয় হতে পারে কোনো সরকারেরই পার্কটি তৈরিতে সদিচ্ছা ছিল না এত জায়গা থাকা সত্ত্বেও পার্ক নির্মাণ না হওয়া হতাশাজনক

সরেজমিনে দেখা যায়, চারদিকে সীমানাপ্রাচীর দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে পার্কের পুরো জায়গা, রয়েছে টিলা ভূমিও বিষয়ে সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন