চীনে বাড়লেও ব্রাজিলের সয়াবিন রফতানি কমেছে

বণিক বার্তা ডেস্ক

ব্রাজিলের সয়াবিন রফতানিতে মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে। ধারাবাহিকতায় চলতি বছরের প্রথম আট মাসে (জানুয়ারি-আগস্ট) দেশটি থেকে কৃষিপণ্যটির রফতানি কমেছে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রায় ১০ শতাংশ। তবে সময়ে দেশটি থেকে চীনে সয়াবিনের রফতানি আগের তুলনায় বেড়েছে। খবর এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল প্ল্যাটস।

সেক্রেটারিয়েট অব ফরেন ট্রেড অব ব্রাজিলের তথ্য অনুযায়ী, দেশটি থেকে বছরের প্রধম আট মাসে সব মিলিয়ে কোটি ৮৫ লাখ টন সয়াবিন রফতানি হয়েছে, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে শতাংশ কম।

এর মধ্যে শুধু আগস্টে কৃষিপণ্যটির রফতানি কমেছে আগের মাসের তুলনায় ৩২ শতাংশ এবং ২০১৮ সালের একই মাসের তুলনায় ৩৪ দশমিক শতাংশ। সময়ে দেশটি থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে সব মিলিয়ে ৫৩ লাখ ২০ হাজার টন সয়াবিন রফতানি হয়েছে।

সয়াবিন রফতানির বৈশ্বিক তালিকায় ব্রাজিলের অবস্থান শীর্ষে। চলতি বছরের প্রথম থেকেই দেশটির শীর্ষ সয়াবিন ক্রেতা হিসেবে দেখা গেছে চীনকে। সময়ে ব্রাজিল থেকে মোট রফতানীকৃত সয়াবিনের ৮০ শতাংশই কিনেছে চীন। পণ্যটির শীর্ষ আমাদানিকারক দেশের তালিকায় এরপর রয়েছে যথাক্রমে স্পেন, তুরস্ক, ইরান নেদারল্যান্ডস। 

চীন সবচেয়ে বেশি সয়াবিন আমদানি করত যুক্তরাষ্ট্র থেকে। বাণিজ্যযুদ্ধ শুরু হলে বাড়তি শুল্কের কারণে চীনা আমদানিকারকরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে কৃষিপণ্যটির আমদানি কমিয়ে আনেন। এতে লাভবান হয়ে ওঠে ব্রাজিল। চলতি বছরে সয়াবিনের বৈশ্বিক বাণিজ্যের শতকরা ৬০ শতাংশই সংঘটিত হয়েছে দুই দেশের মধ্যে।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, বছরের শেষ প্রান্তিকে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) ব্রাজিল থেকে পণ্যটির রফতানি আরো কমে আসতে পারে। আন্তর্জাতিক বাজারে সয়াবিনের মূল্যবৃদ্ধি এর পেছনে অন্যতম প্রধান প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। এছাড়া ব্রাজিলে পণ্যটির অভ্যন্তরীণ চাহিদা মজুদ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও রফতানি কিছুটা কমেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন