চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির শাসনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে মঙ্গলবার চীনজুড়েই বিশেষ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়। রাজধানী বেইজিংয়ে চীনের ইতিহাসের বৃহত্তম সামরিক কুচকাওয়াজ ও সমরাস্ত্র প্রদর্শনী আয়োজিত হয়। সেখানে চীনের উত্থানকে কেউ ঠেকাতে পারবে না—এমন ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তবে পুলিশের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হংকংয়ে বিক্ষোভে নেমেছিল হাজারো বিক্ষোভকারী। আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে জলকামান ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। দাঙ্গা পুলিশকে লক্ষ্য করে আন্দোলনকারীরা পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করেছে বলে জানা গেছে। খবর রয়টার্স ও বিবিসি।
গতকাল বিক্ষোভে নিষেধাজ্ঞা অবজ্ঞা করে হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নামে। বিক্ষোভে সহিংসতা, কাঁদানে গ্যাস ও পেট্রলবোমায় আহত ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে পুলিশ গুলি চালিয়েছে এবং একজনকে বুকে গুলি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে ১ অক্টোবর কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বেইজিংয়ের তিয়েনআনমেন স্কয়ারে সামরিক প্যারেডে দেয়া ভাষণে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, দুনিয়ায় এমন কোনো শক্তি নেই, যা এ মহান জাতিকে ধাক্কা দিতে পারে। এ দেশের মানুষ নিজের পায়ে দাঁড়াতে সক্ষম। ৭০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কঠোর পরিশ্রম ও অধ্যবসায়ের মাধ্যমে চীনা জাতি আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে। সুতরাং এ জাতির অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না।
তিনি বলেন, চীনের বিভিন্ন নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠী এবং এ ভূখণ্ডের দেশপ্রেমিক মানুষ দুনিয়াজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। চীনের উন্নয়নে সমর্থন জোগানো সব বন্ধু জাতিরাষ্ট্রের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। ভাষণে ‘শান্তিপূর্ণ’ অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নেয়ার অঙ্গীকার করেন শি জিনপিং।
হংকং, ম্যাকাও ও তাইওয়ানের নাম না নিয়েই অঞ্চলগুলোর গণতন্ত্রপন্থী ও স্বাধীনতাকামীদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন চীনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, পুনরায় একত্রীকরণের জন্য বেইজিং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হংকংয়ের নাম না নিয়েই তিনি বলেন, চীন সরকার সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশটির স্থিতিশীলতা রক্ষা করবে।
কমিউনিস্ট শাসনের ৭০ বছর পূর্তিতে বেইজিংয়ে চীনা ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ এ সামরিক কুচকাওয়াজ এবং সমরাস্ত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ছাড়াও প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। আমন্ত্রণ জানানো হয় প্রায় ১০০টি দেশের সামরিক অ্যাটাশেদের।