সংরক্ষণবাদ নিয়ে পুতিনের ব্যর্থ পরীক্ষা, ট্রাম্পের জন্য শিক্ষণীয়

বণিক বার্তা ডেস্ক

রুশ কৃষকদের বিদেশী প্রতিযোগিতা থেকে রক্ষা করতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাঁচ বছরের প্রচেষ্টা এবং ২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া দখলের পর নিষেধাজ্ঞার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের সঙ্গে বিরোধরাশিয়ায় এসবের পরিণাম হলো তীব্র মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্যের পেছনে বছরে অতিরিক্ত ৬৯০ কোটি ডলার ব্যয় এবং সীমিত উত্পাদন বৃদ্ধি।

নিষেধাজ্ঞা বিচ্ছিন্নতা নিয়ে রাশিয়ার অভিজ্ঞতা অন্যদের জন্য পথে পা না বাড়ানোর শিক্ষা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিকসের (আইআইই) উপপ্রধান অর্থনীতিবিদ এলিনা রিবাকোভা। তার মতে, রাশিয়ার মতো একটি বৃহত্ জটিল উদীয়মান অর্থনীতি এখনো অতিরিক্ত উত্পাদনশীলতা থেকে হয়তো লাভবান হতে পারবে, তবে বৈশ্বিক বাজারে অন্তর্ভুক্ত হওয়া দেশটির জন্য আরো ফল বয়ে আনবে।

অর্থনৈতিক ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য শুল্ক একটি ভালো হাতিয়ার হবে কিনা, মুহূর্তে বিশ্বজুড়ে নিয়েই বিতর্ক চলছে। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা কেমন করে উল্টো ফল দিতে পারে, পুতিনের কৌশল থেকে সে বিষয়ে শিক্ষা গ্রহণ করা যেতে পারে। সব ধরনের সংরক্ষণবাদী পদক্ষেপ গ্রহণের দিক দিয়ে রাশিয়া সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে বলে মনে করেন রিবাকোভা।

যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেত্রে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত কয়েক দশকের নীতিমালা শোধরানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন, তার মতে যা ব্যর্থ নীতিমালা ছিল। ট্রাম্পের মতে, যুক্তরাষ্ট্রের অতীত ব্যর্থ নীতিমালা চীনের অর্থনৈতিক উত্থানে সহায়তা করেছে এবং জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ব্যাপক বাড়িয়েছে। উভয় ঘটনাই মার্কিন উত্পাদকদের ক্ষতি করেছে।

গত বছর চীনা পণ্য আমদানির ওপর শুল্কারোপ শুরু করেন ট্রাম্প, পাশাপাশি পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ গ্রহণ উচ্চ শুল্কারোপ নিয়ে হুমকির একটি দুষ্টচক্র চালু করেন। এসবের ফলে সৃষ্ট অনিশ্চয়তা বিনিয়োগ ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং ভয়াবহ শ্লথগতি ঠেকাতে ফেডারেল রিজার্ভকে (ফেড) সুদহার কমাতে বাধ্য করছে।

রাশিয়ার ক্ষেত্রে ক্রেমলিনের বিধিনিষেধ আরোপের পর কৃষি উত্পাদন বাড়লেও যেসব খাত বড় ধরনের লাভবান হয়েছে, সেগুলোর ওপর এসব বিধিনিষেধ খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। আর বাকি খাতগুলো আগের বিনিয়োগ থেকে লাভবান হয়েছে। বিধিনিষেধের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোর প্রবৃদ্ধি মাত্র শতাংশীয় পয়েন্টের দশমাংশ বেড়েছে বলে রাশিয়ার স্থানীয় ঋণমানকারী সংস্থা এসিআরএ জানিয়েছে। ভোক্তাদের ওপর থেকে উচ্চব্যয়ের নেতিবাচক প্রভাব দূর করতে প্রবৃদ্ধি মোটেও যথেষ্ট নয়।

নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ায় মাংস উত্পাদন মন্থর হয়েছে, তবে দুগ্ধ শস্য উত্পাদন বেড়েছে।

এসব তথাকথিত নিষেধাজ্ঞাবিরোধী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে রাশিয়ার লক্ষ্য সংরক্ষণবাদ উত্খাত নয় বরং ভূরাজনৈতিক ছিল। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে নিয়মিতভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের নিষিদ্ধ পণ্য ধ্বংস করা দেখানো হতো। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কর্মকর্তারা স্বীকার করে নেন যে স্থানীয় কৃষি খাতকে রক্ষা করাই এসব পদক্ষেপের প্রধান লক্ষ্য ছিল।

বহু বছর ধরেই কৃষি উত্পাদন পুনরুদ্ধারের আশা করে আসছে ক্রেমলিন, যা গত শতকের নব্বইয়ের দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ধসে পড়ে।

তবে নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার

");

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন