দেশে এক-এগারোর মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির আশঙ্কা নাকচ করে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্থানীয় সময় রোববার বিকালে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, এটা বলাই যায় (স্পষ্টত) যে ওয়ান-ইলেভেন পুনরায় ঘটবে না। যদি কোনো অনিয়ম থেকে থাকে, আমি ব্যবস্থা নেব, আমরা ব্যবস্থা নেব এবং সে যে-ই হোক না কেন, এমনকি তারা আমার দলের হলেও। যদি আমি দুর্নীতিবাজদের শাস্তি দিতে চাই, আমার ঘর থেকেই তা আগে শুরু করতে হবে। খবর বাসস।
নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রকল্প প্রস্তুতি থেকে শুরু করে প্রকল্পের কাজ পাওয়ার জন্য অর্থ বিতরণের সুযোগ নিয়ে কিছু লোক বিপুল সম্পদের মালিক বনে যাচ্ছেন। এ অর্থ চটের বস্তায়ও লুকিয়ে রাখা হচ্ছে এবং ওয়ান-ইলেভেনের পটপরিবর্তনের পর আমরা এটা দেখেছি। হঠাৎ করে যে সম্পদ আসে, তা দেখানো কিছু মানুষের স্বভাব। আমাদের সমাজের এ অংশটিকে আঘাত করতে হবে।
জনগণের জন্যই তার রাজনীতি এবং জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই ক্ষমতায় এসেছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি সবসময় জনগণের মঙ্গলের কথাই চিন্তা করি। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে আমার দল ও সমাজের ওপর ক্ষতিকারক কোনো প্রভাব পড়ছে কিনা সে বিষয়েও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। আমাকে সেটা মোকাবেলাও করতে হবে। যে কারণে আমি দুর্নীতিবিরোধী অভিযান চালাচ্ছি। কিছু লোক এ অভিযানে আমার ওপর অখুশি। কিন্তু আমি এটার পরোয়া করি না। কারণ আমার ক্ষমতা ও সম্পদের প্রতি কোনো মোহ নেই। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং চলবে। যদিও এজন্য কোনো বিশেষ কমিটি গঠনের প্রয়োজন নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, দুর্নীতির কোনো তথ্য পেলেই আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা জাতীয় নিরাপত্তা সেল গঠন করেছি এবং তাদের সময়মতো নির্দেশনা প্রদান করছি। এ অভিযান চলতে থাকবে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। আমি চাই, দেশের প্রত্যেক মানুষ উন্নত ও সুন্দর জীবনযাপন করবে। এ সুযোগে কিছুসংখ্যক মানুষ সমাজকে বিষাক্ত করবে, এটা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। এ কারণে আমি এ নির্দেশ দিয়েছি।
জুয়ার সামগ্রী আমদানির
