পেঁয়াজের মজুদ বাড়াচ্ছেন ব্যবসায়ীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের ঘোষণার পর সারা দেশে পণ্যটির দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। রোববার সন্ধ্যা থেকে পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধও হয়ে যায়। গতকালও একই চিত্র দেখা গেছে পাইকারি বাজারে। আগের কেনা পেঁয়াজ বেশি দাম হাঁকিয়ে মজুদ করছেন ব্যবসায়ীরা। মূলত দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানিকারক ব্যবসায়ীদের নির্দেশে বর্ধিত দাম ছাড়া পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ রাখা হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন আড়তদাররা।

গতকাল সকাল থেকে চট্টগ্রামে ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ আড়তেই ক্রেতা তুলনামূলক কম। আবার আগের আমদানি হওয়া পেঁয়াজ আমদানিকারকদের নির্ধারিত দাম ছাড়া বিক্রি করছেন না ব্যবসায়ীরা। ভারত থেকে রফতানি বন্ধের ঘোষণা আসার পর দাম আরো বাড়তে পারে, এমন সম্ভাবনায় কমিশন এজেন্ট হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করা ব্যবসায়ীরা আমদানিকারকদের নির্ধারিত দাম হাঁকছেন। কারণে পেঁয়াজ বিক্রি কমে মজুদ বাড়ছে আড়তগুলোয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাতুনগঞ্জের এক আড়তদার বণিক বার্তাকে বলেন, খাতুনগঞ্জ, শ্যামবাজার কিংবা বড় পাইকারি বাজারে আমদানিকারক থাকেন না। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থলবন্দরগুলোয় আমদানিকারক রয়েছে। স্থলবন্দরে কী দামে বিক্রি হয় বা আমদানি হয়, তার ওপর নির্ভর করে পাইকারি বাজারে দাম ওঠানামা করে। আমাদের প্রতিষ্ঠানে পাঠানো পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ১০০ টাকা না হলে বিক্রি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আমদানিকারক। ফলে আমরাও পেঁয়াজ বিক্রি না করে বসে আছি। তবে আমদানিকারকের নির্ধারিত দামে ক্রেতা পেলে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধা নেই।

এদিকে পেঁয়াজের বাজার নিয়ে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি বৈঠক করেছে খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যাসোসিয়েশন। খাতুনগঞ্জ চাক্তাইয়ের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে সরবরাহ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। বৈঠকে কাঁচা পণ্য ব্যবসায়ীরা দাবি করেন, খাতুনগঞ্জে ৫০০ টনের সমপরিমাণ পেঁয়াজের মজুদ রয়েছে। দ্রুত বিকল্প উৎস থেকে আমদানি না হলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সংকট তীব্র হবে।

জানতে চাইলে দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম বণিক বার্তাকে বলেন, পেঁয়াজ নিত্যপণ্য হওয়ায় আমদানি বন্ধের কারণে কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। সরবরাহ চেইন স্বাভাবিক রাখা গেলে সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে পেঁয়াজ আমদানি শুরু করা দরকার। প্রয়োজনে সরকারি পর্যায়ে ভর্তুকি দিয়ে হলেও বিকল্প উৎস থেকে পেঁয়াজ আমদানি জরুরি।

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বর্তমানে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন